ed
কলকাতা: বনমন্ত্রী তথা প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ইডির হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর দিনই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ আনলেন রাজ্যের আর এক মন্ত্রী সুজিত বসু। শনিবার লেকটাউনের এক পথসভা থেকে দমকলমন্ত্রীর দাবি, তাঁর নাম বলিয়ে নেওয়ার জন্য তাঁরই প্রাক্তন আপ্তসহায়ককে চাপ দিচ্ছেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট-এর আধিকারিকের।
যদিও এমন অভিযোগ নতুন নয়৷ চাপ দিয়ে নাম বলিয়ে নিতে চাইছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি, এমন অভিযোগ এর আগেও বেশ কয়েকবার করেছে তৃণমূল। এবার সেই কথাই শোনা গেল দমকল মন্ত্রী সুজিত বসুর গলায়। মন্ত্রীর প্রাক্তন আপ্ত-সহায়ককে নাকি চাপ দিয়ে তাঁর নাম বলাতে চাইছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। সুজিত জানান, তাঁর আপ্ত-সহায়ক নিতাই দত্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। কোনও কিছুই খুঁজে পায়নি তাঁরা৷ এরপরেও তাঁর নাম বলতে চাপ দেওয়া হচ্ছে। বিস্ফোরক অভিযোগ মন্ত্রীর।
এদিন দমকল মন্ত্রী বলেন, “কোনও নেতা দোষ করে থাকলে তাঁকে অবশ্যই গ্রেফতার করুক। কিন্তু অনেকের দোষ না থাকা সত্ত্বেও তাঁদের গ্রেফতার করা হচ্ছে, শুধু তাই নয় অসুস্থও করে দিচ্ছে।” তাঁর অভিযোগ, ‘‘নিতাই আমার আপ্তসহায়ক ছিল। প্রথম বার কাউন্সিলর হয়েছে, এখন পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান হয়েছে। ওঁর বাড়িতে ইডি-কে পাঠানো হল। ১২ ঘণ্টা ধরে জেরা করল। কিছুই পেল না। তারপর ওকে বলা হল সুজিত বোসের নাম বলে দাও তোমায় ছেড়ে দেব। এটা কেমন অত্যাচার?”
প্রসঙ্গত, নাম বলতে চাপ দেওয়ার অভিযোগ এর আগেও উঠেছে৷ তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে প্রকাশ্য সভা থেকে কেন্দ্রীয় এজেন্সির বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করেছিলেন। এরপর সুজিত বসুর মুখে একই বুলি৷ রাজনীতির কারবারিদের একাংশের মতে, কেন্দ্রীয় এজেন্সির যে অপব্যবহার হচ্ছে, সেই বিষয়টিই তুলে ধরার চেষ্টা করছে শাসক শিবির। বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন৷ তার আগে এজেন্সির বিরুদ্ধে এই প্রচারে আরও শান দিতে চাইবে তৃণমূল কংগ্রেস৷
প্রসঙ্গত, পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে নেমে পুজোর আগেই দক্ষিণ দমদম পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই দত্তের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছিল ইডি। প্রায় ১২ ঘণ্টা ধরে তাঁকে জেরা করা হয়। শনিবার সেই প্রসঙ্গ টেনে এনে ইডি-কে একহাত নিলেন বিধাননগর বিধায়ক।