কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত কুন্তল ঘোষের সঙ্গে সংযোগের ভিত্তিতে ইডি দফতরে তলব করা হয়েছিল তৃণমূলের যুব সভানেত্রী তথা অভিনেত্রী সায়নী ঘোষকে৷ গত শুক্রবার দীর্ঘ ১১ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাঁকে৷ কিন্তু এর পরেও সন্তুষ্ট নয় ইডি৷ সম্পত্তির নথি সহ বুধবার দ্বিতীয় বারের জন্য সিজিও কমপ্লেক্সে তলব করা হয় তাঁকে৷ কিন্তু তিনি ইডি দফতরে না গিয়ে আইনজীবী মারফত ‘প্রয়োজনীয়’ নথিপত্র পাঠিয়ে দেন৷ তদন্তকারী অফিসারদের সায়নী জানান, তিনি ভোটের কাজে ব্যস্ত থাকায় সশরীরে হাজিরা দিতে পারবেন না। ভোটপ্রক্রিয়া মিটে গেলে যে কোনও দিন ইডি দফতরে হাজিরা দিতে পারবেন। কিন্তু ইডির একটি সূত্রের খবর, সায়নীর আইনজীবী বুধবার সিজিও কমপ্লেক্সে গিয়ে যে নথি দিয়ে এসেছেন, তাতে ‘সন্তুষ্ট’ হতে পারেননি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। সায়নীর আয়ের সঙ্গে ব্যয় সঙ্গতিপূর্ণ কি না, সেটাই এখন ইডির আতসকাচে৷
গল্ফগ্রিন এলাকায় দু’দু’টি ফ্ল্যাট রয়েছে সায়নীর। একটি তাঁর নিজের নামে, অপরটি মায়ের নামে৷ ইডি সূত্রে খবর, এর মধ্যে একটি ফ্ল্যাটের দাম প্রায় ৮০ লক্ষ টাকা। ফ্ল্যাটটি কেনার জন্য ২০ লক্ষ টাকা নগদ দিয়েছিলেন যুব সভানেত্রী। বাকি ৬০ লক্ষ টাকার জন্য একটি বেসরকারি ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়েছিলেন তিনি। ওই ফ্ল্যাট সংক্রান্ত নথি নিয়েই বুধবার আসতে বলা হয়েছিল সায়নীকে৷ এ ছাড়াও, সায়নী যে গাড়িটি ব্যবহার করেন, সেই গাড়িটে নিয়েও সন্দিহান ইডি। যদিও সায়নীর দাবি, ওই গাড়িটি তাঁরই।
বুধবার যে নথি নিয়ে সায়নীর আইনজীবী ইডির দফতরে আসেন, তাতে তাঁর গল্ফগ্রিনের ফ্ল্যাট সংক্রান্ত তথ্য ছিল বলেই মনে করা হচ্ছে। কিন্তু সায়নীর পাঠানো ওই নথিতে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা ‘সন্তুষ্ট’ নন বলেই জানা যাচ্ছে। সায়নীর আয়ের সঙ্গে তাঁর সম্পত্তি কতটা ‘সঙ্গতিপূর্ণ’, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তাঁর আয়ের উৎস কী, কী ভাবে তিনি ঋণের টাকা শোধ করেন, সে বিষয়েও বিস্তারিত জানতে চাইছেন ইডি-র কর্তারা। ইডি সূত্রের খবর, নথিপত্র সংক্রান্ত বিষয়টি স্পষ্ট করতেই ফের সায়নীকে তলব করা হতে পারে৷