ed
কলকাতা: সেই বৃহস্পতিবার সাত সকালে মধ্যমগ্রামের মাইকেলনগরের বাড়িতে হানা দিয়েছিলেন ইডি-র আধিকারিকরা৷ দীর্ঘ ১৯ ঘণ্টা তল্লাশির পর রাত ২টোর সময় রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষের বাড়ি থেকে বেরোলেন তাঁরা৷ বাড়ির বাইরে তখন অনুগামী-সমর্থকদের ভিড়৷ ইডি-র আধিকারিকরা বেরিয়ে আসতেই ধিক্কার স্লোগান দিতে থাকেন তাঁরা। ভিড়ের মাঝে আধিকারিকদের বেরতে অসুবিধা হচ্ছে দেখেই এগিয়ে আসেন রথীন৷ তিনি নিজে ভিড় সরিয়ে তাঁদের বাইরে বেরোতে সহযোগিতা করেন।
বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ইডির অফিসাররা তাঁর বাড়ি থেকে বেরনোর পরই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রথীন ঘোষ৷ তিনি বলেন, ‘‘ইডি আধিকারিকেরা আমার সঙ্গে কোনও খারাপ ব্যবহার করেননি। তবে পুরসভায় নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে তাঁদের ধারণায় অনেক গলদ আছে।” তিনি নিজে একটি বই দিয়ে ইডির তদন্তে সহযোগিতা করেছেন বলেও জানান মন্ত্রী। তবে তিনি এও বলেন, ‘‘এই তল্লাশি অভিযান সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত৷ হেনস্থা করতেই বাড়িতে এসেছিলেন ইডি আধিকারিকেরা।” নিয়োগ সংক্রান্ত তাঁর বাড়ি থেকে কোনও নথি পাওয়া যায়নি বলেও দাবি করেছেন খাদ্যমন্ত্রী।
নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার অয়ন শীলের অফিস থেকে উদ্ধার একাধিক নথি থেকে উঠে আসে রথীন ঘোষের নাম৷ তিনি দীর্ঘ দিন মধ্যমগ্রাম পুরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন। সেই সময়কালেই পুরনিয়োগ সংক্রান্ত অনিয়মের অভিযোগে তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ২০১৪-১৮ সাল পর্যন্ত পুরসভায় নিয়োগের ক্ষেত্রে আর্থিক লেনদেনের হদিশ পেয়েছে ইডি৷ কাদের টাকার বিনিময়ে চাকরি দেওয়া হয়েছিল, তা খতিয়ে দেখতে চাইছেন তদন্তকারীরা।