নয়াদিল্লি: ইয়েস ব্যাঙ্কের স্থগিতাদেশ নিয়ে যখন আমানতকারীরা দুশ্চিন্তায়। তখন অর্থমন্ত্রকের তরফে দুশ্চিন্তা করার প্রয়োজন নেই বলেই জানানো হয়েছিল। এই পরিস্থিতিতে ইয়েস ব্যাঙ্কের কর্ণধার রাণা কাপুরের বাড়িতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের হানার ঘটনায় চাঞ্চল্য বেড়েছে আরও। সূত্রের খবর, তাঁর বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপের মামলা দায়ের করা হয়েছে। রাণা কাপুর ছাড়াও অন্যান্য প্রাক্তন ডিরেক্টরদের বিরুদ্ধেও লুক আউট নোটিস দিয়েছে ইডি।
বৃহস্পতিবার সন্ধেয় ইয়েস ব্যাঙ্ককে স্থগিতাদেশ দিয়েছিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, আগামী ৩ এপ্রিল পর্যন্ত ৫০ হাজারের বেশি টাকা তুলতে পারবেন না আমানতকারীরা। আশ্বস্ত করা হয়েছিল অর্থমন্ত্রকের তরফেও। তবে এই স্থগিতাদেশ মাস কয়েক আগের পিএমসি ব্যাঙ্ক দুর্নীতির কথাও ভাবিয়েছে আমানতকারীদের। এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার রাতে ইয়েস ব্যাঙ্কের কর্ণধার রাণা কাপুরের বাড়িতে তল্লাশি চালায় ইডি। দায়ের করা হয়েছে আর্থিক দুর্নীতির মামলাও। তবে রাণা কাপুরের কথায়, গত একবছরেরও বেশি সময় ধরে ব্যাঙ্কের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ নেই তাঁর।
স্বাভাবিকভাবেই এই বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। কিন্তু ব্যাঙ্কের সঙ্গে কর্ণধারের কেন যোগাযোগ ছিল না, তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। সূত্রের খবর, গত বছরই একটি বেসরকারি সংস্থার কাছে নিজের অংশীদারিত্ব বিক্রি করেছিলেন রাণা কাপুর। আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ সত্ত্বেও কেন সাধারণ মানুষকে আশ্বস্ত করা হয়েছিল, তা নিয়েও জল্পনা তৈরি হয়েছে।
ভারতের পঞ্চম বৃহত্তম বেসরকারি ব্যাঙ্ক হল ইয়েস ব্যাঙ্ক। স্বাভাবিকভাবেই বড় কিছু আর্থিক জটিলতা তৈরি হলে তা দেশের অর্থনীতির উপর গুরুতর প্রভাব পড়বে বলেই মনে করছে বিশিষ্টমহল। মূলধন সংক্রান্ত সমস্যা ও অনাদায়ী ঋণের পরিমাণ অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় ইয়েস ব্যাঙ্কের অবস্থা সঙ্গীন। এছাড়া অভ্যন্তরীণ একাধিক সমস্যা তো রয়েইছে। এই পরিস্থিতিতে ব্যাঙ্কটিকে বাঁচাতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে আরবিআই। তবে মাস ছ'য়েক আগে পিএমসি ব্যাঙ্কের ক্ষেত্রেও বিধিনিষেধ আরোপ করেছিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। ব্যাঙ্কিং রেগুলেটরের সেই একই পদক্ষেপ চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে গ্রাহকদের একাংশের কপালে। ইডি-র হানার ঘটনা সেই চিন্তা আরও বাড়িয়ে তুলেছে।