ed
কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের অগাধ সম্পত্তির তালিক. রয়েছে একটি স্কুলও৷ পার্থর প্রয়াত স্ত্রীর নামে ওই স্কুল রয়েছে মেদিনীপুরের পিংলায়৷ ১৫ বিঘা জমির উপর গড়ে ওঠা সেই স্কুল তৈরি করতে নাকি খরচ হয়েছিল প্রায় ৫০ কোটি টাকা। সে কথা প্রকাশ্যে আসতেই চোখ ছানাবড়া হয়েছিল অনেকের৷ এবার আদালতে আরও এক চাঞ্চল্যকর দাবি করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট৷ ইডির আইনজীবীর দাবি, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মতই একটি স্কুল রয়েছে নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত মানিক ভট্টাচার্যেরও৷
নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ধৃত প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান মানিকের বর্তমান ঠিকানা প্রেসিডেন্সি জেল৷ ইডি-র অভিযোগ, দুর্নীতির একেবারে কেন্দ্রে ছিলেন পার্থ ও মানিক। মোটা টাকার বিনিময়ে স্কুলের চাকরি বিক্রি করেছেন তাঁরা। মেদিনীপুরের পিংলায় পার্থর প্রয়াত স্ত্রী বাবলি চট্টোপাধ্যায়ের নামে যে ইন্টারন্যাশনাল স্কুল তৈরি করা হয়েছে, তাতেও চাকরি বিক্রির টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে বলেই অভিযোগ৷ ইডি-র দাবি, এমনই একটি স্কুলের মালিক মানিক৷
যদিও এদিন আদালতে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান মানিক ভট্টাচার্যের আইনজীবীর দাবি, যে স্কুলের কথা ইডি বলছে, সেটি সরকারি স্কুল। শুধু তাই নয়, স্কুলটি ১০০ বছরের পুরনো। মানিক ভট্টাচার্যের নিজের বা যৌথ মালিকানায় কোনও বেসরকারি স্কুল নেই। এই মামলার শুনানি চলার সময় মানিককে এজলাসে রাখার আবেদনও জানিয়েছিলেন তাঁর আইনজীবী৷ তবে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ তাতে সম্মতি জানাননি। বিচারপতি বলেছেন, আদালত প্রয়োজন মনে করলে তাঁকে ডেকে নেওয়া হবে।
তবে এদিন ইডির উদ্দেে আদালতের প্রশ্ন, কেন চার্জশিট দিতে কেন দেরি দেরি করা হচ্ছে? ইডির আইনজীবী জানিয়েছেন, তদন্ত চলছে৷ অগ্রগতিও হচ্ছে। তিন সপ্তাহ পর পরবর্তী শুনানির দিন স্থির করার আবেদনও জানায় তারা৷