আদালতের নির্দেশে ‘কাকু’র কণ্ঠস্বরের নমুনা পেতে এসএসকেএম-এ চিঠি দিল ইডি

আদালতের নির্দেশে ‘কাকু’র কণ্ঠস্বরের নমুনা পেতে এসএসকেএম-এ চিঠি দিল ইডি

ed

কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে ধৃত সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে ‘কালীঘাটের কাকু’-র কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহের জন্য এসএসকেএম হাসপাতালকে চিঠি পাঠাল ইডি। বেসরকারি হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের পর জেলে ফিরতেই ফের অসুস্থ হয়ে পড়েন সুজয়৷ তবে থেকে এসএসকেএম হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন ‘কাকু’। ইডি সূত্রের খবর, সোমবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে যে চিঠি পাঠানো হয়েছে, তাতে সুজয়ের কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহের ব্যবস্থা করার আবেদন জানানো হয়েছে। সম্প্রতি কলকাতার বিচার ভবনের বিশেষ সিবিআই (পিএমএলএ) আদালতের বিচারক এসএসকেএম হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষ ও রাজ্য ফরেন্সিক ল্যাবরেটরির কর্তৃপক্ষকে কালীঘাটের কাকুর কন্ঠ স্বরের নমুনা সংগ্রহের জন্য ইডিকে সহযোগিতার নির্দেশ দিয়েছেন।

আদালতের নির্দেশ মেনেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি দিয়েছে ইডি। প্রসঙ্গত, সপ্তাহখানেক আগে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের শারীরিক অবস্থার রিপোর্ট সংগ্রহ করতে হাসপাতালে হাজির হয়েছিলেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। সেই রিপোর্ট নিয়ে তাঁরা কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্থ হাসপাতালের চিকিৎসকদের কাছ‌ যান এবং তাঁদের মতামত গ্রহণ করেন। সেই চিকিৎসকেরা রিপোর্ট দেখে কী বলেছেন, সেটা স্পষ্ট নয়, তবে সুজয়কৃষ্ণের কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহের মতো পরিস্থিতি আছে বলেই জানানো হয়েছে। তার ভিত্তিতেই এই চিঠি। 

নিয়োগ মামলায় অভিযুক্ত ‘কালীঘাটের কাকু’কে গ্রেফতার করার পর তাঁকে হেফাজতে নেয় ইডি৷ সেখান থেকে তাঁকে পাঠানো হয় জেলে। কিন্তু সুজয় জেলবন্দী হওয়ার পর আর একদিনও তাঁকে জেরা করতে পারেননি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দারা। প্রথম যেদিন সুজয়কে জিজ্ঞাসাবাদ করতে গিয়েছিলেন তাঁরা, ঘটনাচক্রে সেদিনই মৃত্যু হয় সুজয়ের স্ত্রী-র। ফলে আর জেরা করা সম্ভব হয়নি। তার পর দীর্ঘদিন প্যারোল ছিলেন কালীঘাটের কাকু৷ প্যারোলের মেয়াদ শেষ হতেই হৃদরোগের সমস্যা বাড়ে সুজয়ের৷ তার পর অস্ত্রোপচার৷ এর পর থেকে হাসপাতালেই আছেন কাকু৷

এদেকে ইডির উপরেও চাপ বাড়াচ্ছে আদালত৷ দ্রুত নিয়োগ মামলার তদন্ত শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ তদন্তের দীর্ঘসূত্রিতার জন্য কলকাতা হাই কোর্টের ভর্ৎসনার মুখেও পড়তে হয়েছে ইডিকে। এরপর লিপ‌্স অ্যান্ড বাউন্ডস সংক্রান্ত মামলাতেও নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন বিচারপতি। যেই মামলার সঙ্গে যোগ রয়েছে সুজয়েরও। কারণ তিনি ওই সংস্থার প্রাক্তন কর্মী। এই পরিস্থিতিতে দুর্গা পুজোর তৃতীয়ার দিন আচমকাই এসএসকেএম হাসপাতালে পৌঁছয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার  একটি টিম। সূত্রের খবর, চিকিৎসকদের কাছ থেকে তাঁরা সুজয়ের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নিয়েছেন। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

10 − 7 =