গল্ফগ্রিনে দুটি ফ্ল্যাট! ৬০ লক্ষ ব্যাঙ্ক ঋণ, EMI দেয় কে? সব নথি দেখতে চাইল ইডি

গল্ফগ্রিনে দুটি ফ্ল্যাট! ৬০ লক্ষ ব্যাঙ্ক ঋণ, EMI দেয় কে? সব নথি দেখতে চাইল ইডি

ac9154037641c1162bf47e17bd7be9af

কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত তৃণমূলের বহিষ্কৃত যুবনেতা কুন্তল ঘোষের সঙ্গে যোগসূত্রেই সিজিও কমপ্লেক্সে তলব করা হয়েছিল তৃণমূল যুবনেত্রী সায়নী ঘোষকে৷ শুক্রবার প্রায় ১১ ঘণ্টা জেরার পর ইডি দফতর থেকে বেরিয়ে আসেন তিনি৷ আগামী বুধবার তাঁকে ফের তলব করা হয়েছে৷ সূত্রের খবর, ওই দিন বেশ কিছু নথি সঙ্গে নিয়ে আসতে বলেছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা৷ জানা গিয়েছে, সায়নীর ফ্ল্যাট সংক্রান্ত নথি দেখতে চেয়েছেন তাঁরা৷ 

ইডি সূত্রে খবর, জেরায় জানা গিয়েছে সায়নীদের মোট দু’টি ফ্ল্যাট রয়েছে। একটি তাঁর নিজের নামে৷ অন্যটি রয়েছে তাঁর মায়ের নামে। গল্ফগ্রিনে একই জায়গায় রয়েছে  দু’টি ফ্ল্যাট৷  এর মধ্যে একটি ফ্ল্যাটের দাম ৮০ লক্ষ টাকা। ওই ফ্ল্যাটটি কেনার জন্য ২০ লক্ষ টাকা নগদ দিয়েছিলেন যুবনেত্রী। বাকি ৬০ লক্ষ টাকা তিনি ঋণ নেন। বেসরকারি ব্যাঙ্ক থেকে তিনি হোম লোন নিয়েছিলেন বলে জানতে পেরেছে ইডি। ঋণের কাগজপত্র তাঁর কাছে দেখতে চাওয়া হয়েছে। ইডি সূত্রে দাবি, সায়নী এই দু’টি ফ্ল্যাট কিনেছিলেন ২০২০-২১ সাল নাগাদ। ঘটনাচক্রে, তিনি বিধানসভা ভোটের আগে ২০২১ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি আনুষ্ঠানিক ভাবে তৃণমূলে যোগ দেন অভিনেত্রী।

অপর ফ্ল্যাটটির দাম ৩৫ লক্ষ টাকা৷ সেটি রয়েছে তাঁর মায়ের নামে৷ দুটি ফ্ল্যাট কেনার এত টাকা কোথা থেকে এল, তার কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি যুবনেত্রী৷ গোয়েন্দাদের প্রশ্নের জবাবে সায়নী জানান, অভিনেত্রী হিসাবে কিছু টাকা গচ্ছিত ছিল তাঁর। পাশাপাশি ফ্ল্যাট কেনার জন্য ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নেন৷ তবে সেই সংক্রান্ত কোনও  নথি দেখাতে পারেননি সায়নী। ঋণ কার নামে নেওয়া হয়েছে, তার কিস্তিই বা কে শোধ করছেন, তা নিয়েও ধোঁয়াশায় গোয়েন্দারা। 

ফ্ল্যাট ছাড়াও একটি গাড়ি ব্যবহার করেন অভিনেত্রী তথা নেত্রী সায়নী ঘোষ। তাঁর দাবি, এটি তাঁর নিজস্ব। তবে সেদিকেও নজর রয়েছে ইডি আধিকারিকদের। সায়নী আর কোনও গাড়ি ব্যবহার করতেন কি না, নিয়োগ মামলায় ধৃত কুন্তল ঘোষের সঙ্গে তাঁর কোনও অর্থনৈতিক লেনদেন হয়েছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কুন্তলের কাছ থেকে টাকা নিয়ে সায়নী গাড়ি বা ফ্ল্যাট কিনেছিলেন কিনা, তাও খতিয়ে দেখছেন গোয়েন্দারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *