কলকাতা: ইডি-র দফতরে ঢোকার আগে বলেছিলেন, তিনি আত্মবিশ্বাসী৷ কিন্তু টানা ১২ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর মঙ্গলবার রাতে গ্রেফতার হলেন সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে ‘কালীঘাটের কাকু’৷ রাজ্যে নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে৷
মঙ্গলবার সকাল ১১টায় সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দেন সুজয়। টানা জিজ্ঞাবাদ পর্বের পর গ্রেফতার হন তিনি৷ কালীঘাটের কাকুর নাম প্রথম উঠে এসেছিল নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার কুন্তল ঘোষের মুখে৷ তাঁর অভিযোগ, নিয়োগ দুর্নীতির টাকার একটা বড় অংশ যেত সুজয়কৃষ্ণের কাছে। এরপরই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের আতস কাঁচের নীচে আসেন কালীঘাটের কাকু। যদিও তাঁর দাবি, তিনি এ বিষয়ে কিছুই জানেন না।
এর আগে বেশ কয়েকবার সুজয়কে তলব করেছে সিবিআই৷ তিনি তদন্তে সহযোগিতা করেছেন বলেও জানা যায়। পাশাপাশি তাঁর বাড়িতেও তল্লাশি চালায় ইডি। মঙ্গলবার তাঁকে তলব করে ইডি৷ দিনভর জিজ্ঞাসাবাদের পর রাতে তদন্তে অসহযোগিতা করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় ‘কালীঘাটের কাকু’কে৷
সুজয় গ্রেফতার হতেই টুইট করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর কথায়, ‘অবশেষে আইনের লম্বা হাত মাস্টারমাইন্ড ও সুবিধাভোগীদের কাছে পৌঁছেছে। কেউ পার পাবেন না।’ ‘কালীঘাটের কাকু’ গ্রেফতার হওয়ার পর টুইট করেছেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষও। তিনি লিখেছেন, ‘‘বায়রন তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় কংগ্রেস, সিপিএম, বিজেপি জোট ধাক্কা খেয়েছিল। সেই রাগে এবং নিজেদের ব্যর্থতা থেকে নজর ঘোরাতে দিনভর নাটকের পর রাতের উপসংহার নয় তো? তিন দলের উল্লাস দেখে সেটাই তো মনে হচ্ছে।”