হাওয়ালায় ১১ কোটি লেনদেন, ১০০ ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, ‘কালীঘাটের কাকু’র বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর দাবি ED-র

হাওয়ালায় ১১ কোটি লেনদেন, ১০০ ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, ‘কালীঘাটের কাকু’র বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর দাবি ED-র

কলকাতা: রাজ্যে নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে ‘কালীঘাটের কাকু’র সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এল ইডি-র তদন্তে৷ কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন  হাওয়ালার মাধ্যমে প্রায় ১১ কোটি টাকা তাঁর আওতাধীন বিভিন্ন সংস্থার অ্যাকাউন্টে জমা করেছিলেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। শুধু তাই নয়, হাওয়ালার কোটি টাকার বিনিময়ে প্রচুর জমি ও সম্পত্তি কিনেছিলেন ‘কাকু’। তাঁর নামে ১০০টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে বলেও জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। ইডি-র আরও দাবি, নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তকে ভুল পথে চালনা করার চেষ্টা করছেন সুজয়কৃষ্ণ৷ আপাতত ২৮ জুন পর্যন্ত তাঁকে জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।  

বুধবার জোকার ইএসআই হাসপাতালে স্বাস্থ্যপরীক্ষার জন্য নিয়ে আসা হয়েছিল সুজয়কৃষ্ণকে৷ সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হয় ব্যাঙ্কশাল আদালতে৷  আদালতে যাওয়ার পথে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখোমুখি হব কালীঘাটের কাকু৷ নিজের তোলা পুরনো অভিযোগ নিজেই খারিজ করে তিনি বলেন, “সাহেবের নাম বলার জন্য় কোনও চাপ দেওয়া হয়নি।” উল্লেখ্য, কুন্তল ঘোষের মতো সুজয়কৃষ্ণও দাবি করেছিলেন, ইডি তাঁকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম বলতে চাপ দিচ্ছে৷ 

বুধবার আদালতে ইডি-র আইনজীবী জানান, সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে ‘কালীঘাটের কাকু’র নিয়ন্ত্রণাধীন একাধিক সংস্থার খোঁজ মিলেছে। এই সব সংস্থার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে হাওয়ালার মাধ্যমে সব মিলিয়ে ১১ কোটি টাকা জমা পড়েছে। সেই টাকা দিয়ে প্রচুর জমি ও সম্পত্তি কেনেন সুজয়। এদিন একইসঙ্গে কাকুর স্বরের নমুনা পরীক্ষার আবেদনও জানিয়েছে ইডি। এবিষয়ে কলকাতা সিএফএসএল যাতে সম্পূর্ণরূপে সহযোগিতা করে, সেই আর্জিও জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। কিন্তু কেন কালীঘাটের কাকুর স্বর পরীক্ষা করাতে চাইছে ইডি?

কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, ঘনিষ্ঠ সিভিক ভলান্টিয়ার রাহুল বেরাকে যে অ্যাডমিট কার্ড, রেজাল্ট পাঠানো হয়েছিল, সেগুলি মুছে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিলেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। তাঁর ফোন, হোয়াটঅ্যাপ ঘেঁটে সেই তথ্য হাতে এসেছে ইডি-র। এবার সেই কণ্ঠ স্বরের সঙ্গে ‘কালীঘাটের কাকু’র স্বরের নমুনা মিলিয়ে দেখতে চাইছেন গোয়েন্দারা। পাশাপাশি মানিক ভট্টাচার্যের সঙ্গেও যে তাঁর যোগাযোগ ছিল, সে কথা অস্বীকার করে নিয়েছেন কালীঘাটের কাকু। ইডির দাবি, টাকার বিনিময়ে বহু অযোগ্য প্রার্থীকে চাকরি পাইয়ে দিয়েছিলেন কালীঘাটের কাকু।