জামুড়িয়া: বেআইনি কয়লা পাচার কাণ্ডে বাংলা, ঝাড়খন্ড সহ একাধিক জায়গায় শনিবার সকাল থেকে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এই সিবিআই তল্লাশির সময়েই অসুস্থ হয়ে মারা গেলেন ইসিএল-এর এক নিরাপত্তা আধিকারিক। ঘটনাটি ঘটেছে জামুড়িয়ায়। মৃতের নাম ধনঞ্জয় রায়।পরিবার সূত্রে জানানো হয়েছে, এদিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা ধনঞ্জয়ের বাড়িতে আসার পরই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাঁকে কোলিয়ারি কালনা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন।এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।
বেআইনি কয়লা পাচার কাণ্ডে পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা, বর্ধমান, পুরুলিয়ার ছাড়াও, পাটনা, ভাগলপুর সহ চার রাজ্যের প্রায় ৪৫ টি জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছে সিবিআইয়ের দল।শহরের সল্টলেক এলাকাসহ দক্ষিণ ২৪ পরগনার বেশ কিছু এলাকায় তল্লাশি করেছে সিবিআই।জামুড়িয়ার ঘটনায় জানা গিয়েছে, ওই ইসিএল কর্মীর বাড়িতে গিয়ে সিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদের সময়েই অসুস্থ বোধ করেন ওই কর্মী।পরবর্তী সময় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁর মৃত্যু হয়। বেআইনি কয়লা পাচারকার কাণ্ড এর আগেও ব্যাপকভাবে তৎপরতা দেখিয়েছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। তল্লাশি চালানো হয়েছিল আসানসোল, বর্ধমান সহ একাধিক এলাকায়। তখন বেশ কয়েকজনের নাম সামনে উঠে এসেছিল। এই তল্লাশি অভিযান অনুপ মাঝি নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে তল্লাশি করে সিবিআই। মূলত বেআইনি কয়লা পাচারকারীদের মাথা হিসেবে পরিচিত এই অনুপ মাঝি। পশ্চিমবঙ্গ এবং ঝাড়খন্ড সীমান্তে বেআইনিভাবে কয়লা পাচারের সঙ্গে বহুদিন ধরেই যুক্ত তিনি। এই মাসের প্রথমদিকে আয়কর দপ্তর থেকে তদন্ত করা হয় এবং তাকে নোটিশ পাঠানো হয়েছিল।
বিরোধীপক্ষের অভিযোগ ছিল, অভিযুক্তদের সঙ্গে শাসকদলের ঘনিষ্ঠতা রয়েছে। সেই প্রেক্ষিতে বেআইনি এই কয়লা কারবারিদের বাড়ি এবং অফিসসহ তাদের একাধিক আস্তানায় হানা দিয়েছে সিবিআই। যদিও এই সিবিআই তদন্তের তৎপরতা নিয়ে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকেই কটাক্ষ করেছে রাজ্য সরকার তথা তৃণমূল কংগ্রেস। তাদের দাবি, যখনই নির্বাচন আসে তার আগেই কেন্দ্রের তৎপরতা শুরু হয়ে যায়। গোয়েন্দা সংস্থা লেলিয়ে দিয়ে রাজ্য সরকারকে কোণঠাসা করার পরিকল্পনা করে তারা।এক্ষেত্রে সারদা এবং নারদা কান্ডের কথাও বলেন তৃণমূলের মুখপাত্ররা। সেই মামলাতেও হঠাৎ তৎপরতা বাড়িয়ে ইতিমধ্যেই রাজ্যের তৃণমূল কংগ্রেসের তিনজনকে নোটিশ পাঠিয়েছে সিবিআই।