কলকাতা: আর মাত্র দুদিন পরেই অনুষ্ঠিত হতে চলেছে রাজ্যের প্রথম দফার বিধানসভা নির্বাচন। উত্তর থেকে দক্ষিণ, বাংলা জুড়ে শেষ মুহূর্তের ভোট প্রস্তুতিও তাই তুঙ্গে। এমতাবস্থায়, সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের প্রক্রিয়াই এখন বড়সড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে নির্বাচন কমিশনের কাছে। জেলায় জেলায় নিরাপত্তা নিয়ে তাই আরো কড়া সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন কমিশনের আধিকারিকরা।
ভোটের মুখে বদলির নির্দেশ পেলেন রাজ্য প্রশাসনের আরো ৫ কর্তা, এদিন এমনটাই জানা গেছে সূত্রের খবরে। বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনের সচিবালয়ের তরফে এই নির্দেশ জারি করা হয়েছে। নির্দেশ অনুযায়ী কলকাতা পুলিশের দক্ষিণ কলকাতা শাখার ডিসি, ডায়মন্ড হারবারের পুলিশ সুপার ছাড়াও বদলির তালিকায় নাম রয়েছে আরো তিন জনের। ভোটের আগে রাজ্যের এই প্রশাসনিক স্তরের রদবদল নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।
দক্ষিণ কলকাতার ডিসিপি সুধীর নীলকণ্ঠকে বদলি করে তাঁর জায়গায় আনা হয়েছে আইপিএস কর্তা আকাশ মাঘারিয়া। এছাড়া, ডায়মন্ড হারবারের পুলিশ সুপার তথা আইপিএস কর্তা অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের জায়গায় বদলি হয়ে দায়িত্ব পেয়েছেন অরিজিৎ সিন্হা। উল্লেখ্য, দক্ষিণ কলকাতার কালীঘাটে বাস করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবং তাঁর ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় হলেন ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল সাংসদ। ফলে এই দুই এলাকার প্রশাসনিক রদবদলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
এছাড়া, আর যে সমস্ত এলাকায় প্রশাসনিক রদবদল করা হয়েছে, সেগুলি হল পশ্চিমাঞ্চলের এডিজি সঞ্জয় সিংহের বদলি হিসাবে আইপিএস রাজেশ কুমার, ঝাড়গ্রামের জেলাশাসক আয়েশা রানির বদলি আইএএস জয়েশী দাশগুপ্ত, এবং কোচবিহারের পুলিশ সুপার কে কান্নানের বদলি আইপিএস কর্তা দেবাশিস ধর। এদিন নির্বাচন কমিশনের তরফে এই বদলির নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। বলা হয়েছে, যাঁদের বদলির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, রাজ্যে ভোট শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা কোনো প্রশাসনিক কাজে যুক্ত হতে পারবেন না।