নয়াদিল্লি: করোনা অতিমারীর আতঙ্ক কাটিয়ে এখন নির্বাচনী উত্তাপে ফুটছে গোটা দেশ। আর কিছুদিনের মধ্যেই অনুষ্ঠিত হবে ৫ রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের বিধানসভা নির্বাচন। পশ্চিমবঙ্গ আসাম তামিলনাড়ু কেরালা এবং পুদুচেরির এই নির্বাচনের দিকেই এখন চোখ রয়েছে দেশের রাজনৈতিক মহলের। কবে থেকে শুরু হবে ভোটযুদ্ধ? এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতেই আজ ফের বৈঠকে বসছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন।
দিল্লিতে বৈঠকের মাঝেই আজ তৃতীয়বারের জন্য পশ্চিমবঙ্গে আসছেন ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন। সূত্রের খবর, আগামীকাল অর্থাৎ শুক্রবার রাজ্যের পুলিশ সুপার এবং জেলা শাসকদের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। শুধু পশ্চিমবঙ্গই নয়, কমিশনের তরফে ইতিমধ্যে বাকি রাজ্য গুলিতেও ভোট পূর্ববর্তী পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হয়েছে একাধিকবার। তবে বাংলাতেই সবচেয়ে বেশি স্পর্শকাতর বুথ চিহ্নিত করেছেন তাঁরা। জানা গেছে এ রাজ্যের মোট ৬ হাজার ৪০০ বুথ স্পর্শকাতর হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। এই পরিস্থিতিতেই ফের বাংলায় পা রাখছেন সুদীপ জৈন।
বস্তুত, করোনা পরবর্তী পরিস্থিতিতে ৫টি রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন আয়োজন করা সহজ কথা নয়। সমস্ত স্বাস্থ্য বিধি মেনে ভোট আয়োজন করতে গিয়ে নির্বাচনের পরিসর করা হয়েছে। বেড়েছে বুথ সংখ্যাও। বুধবার নির্বাচনী নির্ঘন্ট চূড়ান্ত করতেই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের ডাক দিয়েছে কমিশন। দিল্লিতে এদিনের বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা। নির্বাচন চলাকালীন ভোটারদের নিরাপত্তা কীভাবে সুনিশ্চিত করা যায়, তা নিয়েই হবে আলোচনা।
উল্লেখ্য, গত লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে ভোট হয়েছিল ৬ দফায়। কিন্তু এবার করোনা পরিস্থিতি এবং নির্বাচনী উত্তাপ বিচার করে ৮ দফার ভোট আয়োজন করা হতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে কমিশন সূত্রের খবরে। বুথের সংখ্যাও ৭৮৯০৩ থেকে বেড়ে হচ্ছে ১০১৭৯০। ডেপুটি কমিশনার কলকাতায় আসার আগে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী আধিকারিকদের কাছ থেকে তথ্য চাওয়া হয়েছে।