কলকাতা: দরজায় কড়া নাড়ছে বিধানসভা নির্বাচন। চলতি মাস থেকেই রেকর্ড আট দফায় অনুষ্ঠিত হতে চলেছে বাংলার ভোট। তার আগে এখন এই মহারণের শেষ পর্যায়ের প্রস্তুতি তুঙ্গে।
নির্বাচনের আগে কমিশনের বিরুদ্ধে একাধিক ইস্যুতে রাজ্যের ভোট কর্মীদের অসন্তোষ দীর্ঘ দিন ধরেই দানা বাঁধছিল। তাতেই এবার খানিক রাশ টানার উদ্যোগ নিল নির্বাচন কমিশন। জানা গেছে ভোট কর্মীদের খাওয়া খরচ বাবদ বরাদ্দ অর্থ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এদিন এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে কমিশন জানিয়েছে, ভোটের দিন খাওয়া খাতে ভাতা বাবদ প্রতিটি কর্মীকে ১৫০-এর পরিবর্তে ১৭০ টাকা করে দেওয়া হবে। অবশ্য কর্মীদের ভোট ভাতা বৃদ্ধি করা হয়নি। এক্ষেত্রে প্রিসাইডিং অফিসার এবং পোলিং অফিসার ৫ দিনের জন্য পাবেন যথাক্রমে ৩৫০ এবং ২৫০ টাকা।
দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এমনকি বাংলাতেও করোনার সংক্রমণ ফের বৃদ্ধি পাওয়ায় ভোট আবহে অতিমারীকে যাতে কোনোভাবেই লঘু করে না দেখা হয় সে বিষয়ে এদিন জেলা প্রশাসনকে সতর্ক করেছে নির্বাচন কমিশন। শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি নিয়ে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাব আজ সব জেলার জেলাশাসক এবং জেলা পুলিশ সুপারদের সঙ্গে ভার্চুয়াল মাধ্যমে একটি বৈঠক করেন। হেভিওয়েট নেতৃত্বের নিরাপত্তার প্রসঙ্গও এদিনের বৈঠকে আলোচিত হয়। এছাড়া, জামিন অযোগ্য ধারায় যাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে সেগুলি দ্রুত কার্যকরী করার কথাও বলেছে কমিশন।
জানা গেছে, ভোট চলাকালীন বুথে জরুরি প্রয়োজনে খরচ বাবদ প্রিসাইডিং অফিসারকে দেওয়া হবে বাড়তি ৩০০ টাকা। মোবাইলের খরচ বাবদও কিছু টাকা পাবেন তাঁরা। ডিসিআরসি ও সেক্টর অফিসে যেসব কর্মী কাজ করবেন তাদের ভোটের আগের দিন এবং ভোটের দিন দুশো টাকা করে ভাতা দেওয়া হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে কমিশন। উল্লেখ্য, ভোটের আগে প্রশিক্ষণ চলাকালীন কমিশনের একাধিক কার্যরীতির বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন শিক্ষা মহলের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিবর্গ। এমতাবস্থায় কমিশনের নতুন বিজ্ঞপ্তি তাঁদের ক্ষোভ কতটা প্রশমিত করে, সেটাই এখন দেখার।