অবশেষে ভোট কর্মীদের লাঞ্চ প্যাকেটের বরাদ্দ করল নির্বাচন কমিশন! উচ্ছ্বসিত কর্মচারী মহল

একটানা ট্রেনিংয়ের পর শুধু চা বিস্কুট দিয়ে বিদায় দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল

 

কলকাতা: বিধানসভা নির্বাচনের বাকি আর মাত্র কয়েকটা দিন। তার আগে রাজ্যের ভোট পরিস্থিতি পর্যালোচনা এবং শান্তি বজায় রাখার জন্য এসে পৌঁছেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। নির্বাচনী প্রস্তুতি হিসেবে জেলায় জেলায় ভোট কর্মীদের প্রশিক্ষণও শুরু করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এই আবহেই কমিশনের দরবারে সাফল্য মিলল রাজ্যের শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির।

ভোটের কাজে নিযুক্ত শিক্ষা কর্মীদের জন্য নির্দিষ্ট মূল্যের লাঞ্চ প্যাকেট বরাদ্দ করেছে নির্বাচন কমিশন, এদিন এমনটাই জানা গেছে সূত্রের খবরে। শিক্ষা মহলের তরফ থেকে প্রতিবাদের ফলেই এই সাফল্য মিলেছে বলে মনে করা হচ্ছে। জানা গেছে, কমিশনের তরফে ভোটের জন্য ট্রেনিংরত শিক্ষা কর্মীদের দেওয়া হবে ১৭০ টাকার লাঞ্চ প্যাকেট। তবে মধ্যাহ্নভোজ ছাড়াও কমিশনের আরো একাধিক কাজে অসঙ্গতির অভিযোগ উঠেছিল, সে ব্যাপারে এখনও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

বস্তুত, ভোট প্রস্তুতি হিসেবে কর্মীদের যে ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করেছিল নির্বাচন কমিশন, তা নিয়ে একাধিক আপত্তি ছিল শিক্ষা মহলের। দিনে একটানা ৬-৭ ঘন্টা কাজ করিয়ে শুধুমাত্র চা বিস্কুট দিয়েই বিদায় দেওয়ার অভিযোগও উঠেছিল কমিশনের বিরুদ্ধে। তবে বিক্ষিপ্ত ভাবে কোথাও কোথাও আবার দুপুরের খাবারের ব্যবস্থাও করা হয়েছিল। শিক্ষক মহলের প্রশ্ন ছিল একই নির্বাচন কমিশনের অধীনে এমন ভিন্ন ভিন্ন নিয়ম রাখা হবে কেন? এ ব্যাপারে শিক্ষক শিক্ষাকর্মী শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের রাজ্য সম্পাদক কিংকর অধিকারী নির্বাচন কমিশনের কাছে জবাবও চেয়েছিলেন বলে শোনা গিয়েছিল। আর তারপরেই মিলেছে সাফল্য।

এদিন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজ্যের অ্যাকাউন্ট জেনারেলের কাছে চিঠি দিয়ে লাঞ্চ প্যাকেটের বরাদ্দের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। চিঠিতে লেখা হয়েছে, “২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের জন্য যে সমস্ত ভোট কর্মীরা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হচ্ছেন তাঁদের একদিন ব্যাপী ট্রেনিং সেশনের ক্ষেত্রে মাথাপিছু একটি করে লাঞ্চ প্যাকেট বরাদ্দ করা হচ্ছে যার দাম ১৭০ টাকা।” তাঁর আরও মন্তব্য, ‘‘দাবি মেনে নেওয়ায় নির্বাচন কমিশনকে আমরা অভিনন্দন জানাই। এছাড়া অন্যান্য অসঙ্গতি গুলি দূর করার দাবিতে জারি থাকবে আমাদের প্রতিবাদ আন্দোলন। অন্য রাজ্যে ভোটের পরের দিন সমস্ত ভোট কর্মীর জন্য অন ডিউটির ব্যবস্থা থাকলেও আমাদের রাজ্যে নেই কেন, সম্মানজনক রেমুনারেশন বৃদ্ধি সহ অন্যান্য দাবিতে আমাদের আন্দোলন জারি থাকছে। আবার প্রমান হল সম্মিলিত প্রতিবাদ দাবি আদায়ের একমাত্র পথ। একত্রিত থাকার জন্য  সকল ভোটকর্মীকে অভিনন্দন জানাই৷’’ এই ব্যয়ের উৎসও চিঠিতে উল্লেখ করেছেন নির্বাচন কমিশনার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

11 − nine =