নয়াদিল্লি: পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উত্তরোত্তর বাড়ছে রাজনৈতিক উন্মাদনা। বিক্ষিপ্তভাবে স্থানে স্থানে দেখা দিচ্ছে হিংসা অশান্তিও। প্রথম দফার ভোট মিটলেও এখনও বাকি আরো সাত দফা। আর তার মধ্যে সম্ভবত সবচেয়ে হাইভোল্টেজ ভোটগ্রহণ হতে চলেছে দ্বিতীয় দফায় নন্দীগ্রামে। তার আগেই ভোটের পরিচালনায় কেন্দ্রীয় বাহিনীকে বড়সড় অনুমতি দিল নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচন পরিচালনার সময় কোনোরকম আক্রমণের মুখে পড়লে আক্রমণকারীকে লক্ষ করে গুলি চালাতে পারবে কেন্দ্রীয় বাহিনী, এদিন এক বিবৃতির মাধ্যমে এমনটাই জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে গুলি চালানোর এই খোলামেলা অনুমতি রাজ্যে ভোট চলাকালীন অশান্তিতে লাগাম লাগাতে পারবে বলেই মনে করা হচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহলের তরফে। বস্তুত, দিন কয়েক আগে রাজনৈতিক ক্ষেত্রে অশান্তি সামাল দিতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর আধিকারিকরা। শুক্রবার পটাশপুরের সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই এহেন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
দ্বিতীয় দফার ভোট যে হাইভোল্টেজ, তা হাড়ে হাড়ে বুঝেছে নির্বাচন কমিশন। এদিন কমিশনের তরফে জারি করা নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, আত্মরক্ষার স্বার্থে প্রয়োজন পড়লে সরাসরি গুলি চালাতে পারবে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সশস্ত্র জওয়ানরা। কমিশনের এই নির্দেশে অবশ্য মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে বাংলার রাজনৈতিক মহলে। নয়া নির্দেশকে স্বাগত জানিয়েছেন কেউ কেউ, আবার একাংশ এর বিরোধিতা করেও মুখ খুলেছেন।
সূত্রের খবর, পটাশপুরের ঘটনার পর কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের আত্মবিশ্বাসে যাতে চিড় না ধরে, সে কথা ভেবেই এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কমিশনের তরফে। এ প্রসঙ্গে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশের দাবি, কমিশনের নির্দেশিকা অনাবশ্যক ভীতির সঞ্চার করবে ভোটারদের মনে। এবং তার অবশ্যম্ভাবী প্রভাব পড়বে ভোটদানের হারেও। আবার অন্য একাংশ জানিয়েছে, এর ফলে অশান্তি সৃষ্টিকারীরা অনেকটাই সংযত থাকবে।