কর্মী ছাঁটাই, বেতন বন্ধের প্রতিবাদ-বিদ্রোহে কাঁপাল শ্রম কমিশনের দফতর

কর্মী ছাঁটাই, বেতন বন্ধ, প্রাপ্য বেতনের টাকার অঙ্ক কমানো ইত্যাদি একাধিক অভিযোগে বেসরকারি সংস্থা গুলির বিরুদ্ধে সরব হলেন ডিওয়াইএফআই কর্মীরা। বুধবার কলকাতার শ্রম কমিশন দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখান যুবক কর্মীরা।

 

কলকাতা: কর্মী ছাঁটাই, বেতন বন্ধ, প্রাপ্য বেতন কমানো ইত্যাদি একাধিক অভিযোগে বেসরকারি সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে সরব হলেন ডিওয়াইএফআই কর্মীরা। কলকাতার শ্রম কমিশন দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখান যুবক কর্মীরা।

দফতরে ছাঁটাই বন্ধ করা, বকেয়া মাইনে দেওয়া, রুজিরুটি নিশ্চিত করার দাবি তুলে শ্রম কমিশন দফতরের গেটের বাইরে দীর্ঘক্ষণ বিক্ষোভ সমাবেশ করেন যুব আন্দোলনের কর্মীরা। আন্দোলনকারীরা এই বিষয়ে শ্রম কমিশনের হস্তক্ষেপ চেয়ে সংস্থার আধিকারিকদের কাছে ডেপুটেশনও জমা দিয়েছেন।

রাজ্য তথা দেশ জুড়ে করোনার থাবা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই বেকারত্বের সংখ্যা বাড়ছে। দুদিন আগে একথা স্বীকার করেছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রকও। এই পরিস্থিতিতেও কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার সাধারণ মানুষের জীবিকার দায়িত্ব না নিয়ে কর্পোরেট ও পুঁজিপতি তোষণে ব্যস্ত বলে অভিযোগ কর্মীদের। তাঁদের দাবি, কর্পোরেট স্বার্থে শ্রমিক আইনে বদল করার ফলে শ্রমজীবি মানুষের স্বার্থ রক্ষা করা হচ্ছে না। ফলে প্রতিনিয়ত সাধারণ মানুষ না খেতে পেয়ে মরছে। শ্রমজীবি মানুষের বেঁচে থাকার নূন্যতম অধিকারটুকুও কেড়ে নিচ্ছে বেসরকারি সংস্থাগুলি। করোনা মহামারীর ভয়াবহ পরিস্থিতিতে খেটে খাওয়া মানুষ সরকারি আস্থাভাজন বেসরকারি পুঁজিপতি শ্রেণির পায়ের তলায় পিষে যাচ্ছে।

নিজেদের স্বার্থ রক্ষা করতে প্রতিদিন হাজার হাজার শ্রমিক ছাঁটাই করে চলেছে বেসরকারি সংস্থাগুলি। শ্রমিকদের প্রাপ্য বেতনের অঙ্কে ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ টাকা কমিয়ে দিচ্ছে। কোনও কোনও ক্ষেত্রে দেখা গেছে গত তিন মাসের বেতন এখনও পাননি শ্রমিকেরা। চরম আর্থিক সংকটের শিকার হওয়া এই সমস্ত শ্রমিকেরা, পরিবারের মুখে দুবেলা দুমুঠো অন্ন কীভাবে তুলে দেবেন সেই চিন্তায় নাজেহাল হয়ে পড়েছেন। করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও নির্দয় ভাবে বেসরকারি সংস্থাগুলির নিজেদের স্বার্থ রক্ষার বিরুদ্ধে, শ্রম কমিশনকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে দাবি করেছেন কর্মীরা। যেভাবে বেসরকারি সংস্থা গুলি তাদের পুঁজিগত দিক বহাল রাখছে, তাতে এখনও পর্যন্ত কাজে যুক্ত থাকা কর্মীরা ছাঁটাই হওয়ার সম্ভাবনাকে সম্পূর্ণভাবে উড়িয়ে দিতে পারছেন না। -ফাইল চিত্র

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

one × two =