কে ঠিক? রাজ্য নাকি কেন্দ্র? জল ছাড়া নিয়ে চাপানউতোর কী চলতেই থাকবে? DVC Flooding in South Bengal

DVC Flooding in South Bengal নিজস্ব প্রতিনিধি: ডিভিসি পাঁচ লক্ষ কিউসেকের বেশি জল ছেড়েছে বলেই দক্ষিণবঙ্গের বহু জেলা বন্যা কবলিত হয়েছে। বন্যায় বিপর্যস্ত মানুষের সংখ্যা প্রায়…

DVC Flooding in South Bengal

DVC Flooding in South Bengal

নিজস্ব প্রতিনিধি: ডিভিসি পাঁচ লক্ষ কিউসেকের বেশি জল ছেড়েছে বলেই দক্ষিণবঙ্গের বহু জেলা বন্যা কবলিত হয়েছে। বন্যায় বিপর্যস্ত মানুষের সংখ্যা প্রায় ৫০ লক্ষ। এমনটাই দাবি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। অন্যান্য বারের মতো এবারেও তিনি বিষয়টিকে ‘ম্যান মেড বন্যা’ বলে অভিযোগ করেছেন। এমনকী ডিভিসির বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠিও পাঠিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। পাল্টা কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রকের বক্তব্য, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী যা বলছেন তা ঠিক নয়। জল ছাড়া সংক্রান্ত বিষয়টি নিয়ে যে বিশেষজ্ঞ কমিটি রয়েছে, তাতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সেচ দফতরের অন্যতম শীর্ষ আধিকারিক রয়েছেন। সম্মিলিত সিদ্ধান্তের ভিত্তিতেই জল ছাড়া হয়ে থাকে, এমনটাই দাবি করছে কেন্দ্র। তাই প্রশ্ন উঠছে তাহলে কে ঠিক বলছে? রাজ্য নাকি কেন্দ্র? (DVC Flooding in South Bengal)

যৌথ ভাবে সমাধান নয় কেন? DVC Flooding in South Bengal

এই প্রথম নয়, যখনই পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয় তখনই মুখ্যমন্ত্রী ডিভিসির বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করেন। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে বর্ষাকাল বাদ দিয়ে এই প্রসঙ্গ তুলে কেন বিষয়টি নিয়ে রাজ্য ও কেন্দ্র একত্রে আলোচনা করে না? কেন যৌথভাবে এই সমস্যা সমাধানের জন্য উদ্যোগী হয় না রাজ্য বা কেন্দ্র? এর উত্তর দেবেন কে?

জলাধার নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ

মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ ডিভিসি জলাধারগুলির ঠিক মতো রক্ষণাবেক্ষণ করে না। ঠিকমতো ড্রেজিং হয় না বলে সেগুলির জল ধারণ ক্ষমতা কমে গিয়েছে। কিন্তু বছরের অন্য সময়ে এই বিষয়টি তুলে কেন কেন্দ্রের উপর চাপ বাড়ায় না রাজ্য সরকার? সেখানে যদি কেন্দ্রের কোনও গাফিলতি থাকে তবে তার বিরুদ্ধে সব মহলের প্রতিবাদ করা উচিত। কিন্তু তার আগে তো অসুখটা খুঁজে বের করতে হবে। যে দাবি মুখ্যমন্ত্রী বন্যা পরিস্থিতির সময় করেন, তা অন্য সময়ে তুলে ধরে যদি লাগাতার কেন্দ্রের উপর চাপ বাড়ানো যায়, তাহলে সমাধান সূত্র বেরিয়ে আসার যথেষ্ট সম্ভাবনা থাকে।

স্থায়ী সমাধান কবে?

অন্যদিকে কেন্দ্রকেও এটা উপযুক্ত নথি দিয়ে প্রমাণ করতে হবে যে, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অন্যতম শীর্ষ আধিকারিকের সম্মতির পর সম্মিলিত সিদ্ধান্ত নিয়ে জল ছাড়া হয়ে থাকে। এছাড়া মুখ্যমন্ত্রী জলাধারগুলির রক্ষণাবেক্ষণ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে যে দাবি করেছেন, সেটাও উপযুক্ত নথি দিয়ে কেন্দ্রকে প্রমাণ করতে হবে সেই অভিযোগ ঠিক না ভুল। কিন্তু বছরের পর বছর দেখা যাচ্ছে শুধুমাত্র বন্যা পরিস্থিতি হলেই এই বিষয়টি নিয়ে চর্চা চলে। এরপর বৃষ্টির মরসুম শেষ হয়ে গেলেই সবকিছু আবার ধামাচাপা পড়ে যায়। মাঝখান দিয়ে তীব্র সমস্যার মধ্যে পড়েন পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, হুগলি-সহ বিভিন্ন জেলার লক্ষ লক্ষ মানুষ। তবে কি এভাবেই চলবে? এর কী কোনও স্থায়ী সমাধান হবে না? এর উত্তর দেবেন কে?

আরও পড়ুন-

আরজি কর কাণ্ডে এবার সিবিআই রাডারে টিএমসিপি নেতা!

‘এক দেশ এক নির্বাচন’ হলে বিরোধীরা কেন অসুবিধায় পড়বে?

‘এক দেশ এক ভোট’ চালুর পথে কেন্দ্র! 

জম্মু-কাশ্মীর নির্বাচনে বিজেপির ক্ষমতা দখল কঠিন কেন?

মোদীর জন্মদিনে অভিষেক শুভেচ্ছা জানালেও নীরব মমতা! 

কেজরিওয়াল যে সাহস দেখাচ্ছেন তা কী দেখাতে পারবেন মমতা?

 

 Politics: DVC flooding in South Bengal has become a major concern as over 50 lakh people are affected. CM Mamata Banerjee has raised serious allegations against DVC, claiming that the flood is a result of poor management.