কলকাতা: বিজেপি’র এসসি-এসটি মোর্চার রাজ্য সভাপতির পদ ছাড়লেন দুলাল বর৷ একুশের ভোটে বিজেপি এসসি-এসটি মোর্চা থেকে কাউকে প্রার্থী না করার প্রতিবাদেই ইস্তফা তাঁর৷ প্রসঙ্গত, দুলাল বর আগে ছিলেন বাগদার কংগ্রেস বিধায়ক৷ তার আগে তিনি ছিলেন তৃণমূলের ‘ঘরের দুলাল’৷ পরে তিনি যোগ দেন পদ্মশিবিরে৷ দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে বারবার দল বদলেছেন দুলাল৷ কিন্তপ বিজেপিতে আসার পর টিকিট পেলেন না তিনি৷
আরও পড়ুন- বিজেপি শাসিত রাজ্যের পুলিশ মোতায়েনের বিরোধিতা! কমিশনে নালিশ তৃণমূলের
এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে দুলাল বর বলেন, গাইগাটা বিধানসভা কেন্দ্র তথা বনগাঁ লোকসভার অন্তর্গত বিভিন্ন বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থী তালিকা নিয়ে দলের অন্দরে ক্ষোভ রয়েছে৷ প্রার্থী নিয়ে অসন্তোষের জেরেই বিজেপি’র এসসি-এসটি সেলের রাজ্য সভাপতি পদ থেকে তিনি ইস্তফার দিতে চলেছেন তিনি৷ পদ থেকে ইস্তফা দিলে, দলও ত্যাগ করতে পারেন না, হুঁশিয়ারি তাঁর৷ এর পরেই তাঁকে ডেকে পাঠায় বিজেপি’র শীর্ষ স্থানীয় নেতৃত্ব৷ আজই তাঁদের সঙ্গে দেখা করবেন দুলাল বর৷
এদিকে গাইগাটা পূর্ব ১ নম্বর মণ্ডলে বিক্ষুব্ধ বিজেপি প্রার্থীরা জমায়েত করেন৷ তাঁদের অভিযোগ, এখানে পরিবারতন্ত্র চালানো হয়েছে৷ শান্তনু ঠাকুরের দাদা সুব্রত ঠাকুরকে বিজেপি প্রার্থী করা হয়েছে৷ দলের এই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে চাইছেন না নীচুতলার কর্মীরা৷ প্রার্থীপদ প্রত্যাহার করা না হলে বিদ্রোহের হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে৷ প্রার্থী বদল না হলে এই সকল কেন্দ্রে পৃথক মঞ্চ গড়ে নির্দল প্রার্থী দেবেন বলেও ভাবনা চিন্তা শুরু হয়েছে৷ তবে তার আগে দলকে সময় দিতে চাইছেন তাঁরা৷
এদিকে দুলাল বর বলেন, আজই এসসি-এসটি মোর্চার সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দিচ্ছি৷ কারণ বিজেপি এসসি-এসটি মোর্চার নামে ব্যবসা করছে৷ যাঁরা তফশিলি সম্প্রদায়ের মুখ তাঁদের প্রার্থী করা হচ্ছে না৷ বরং অর্থের বিনিময়ে কিছু প্রার্থীকে টিকিট দেওয়া হচ্ছে৷
আরও পড়ুন- দিদিকে বহিরাগত খোঁচা মোদীর, বহিরাগত কে? জবাব মমতার!
বাগদা কেন্দ্রের প্রাক্তন বিধায়ক পদ্মশিবিরে যাওয়ার পর তাঁকে টিকিট দেওয়া হয় কিনা, সেটাই ছিল দেখার বিষয়৷ কিন্তু তিনি টিকিট পাননি৷ প্রসঙ্গত, ২০০৬ সালে গোটা রাজ্যে তৃণমূলের ভরাডুবির মধ্যেও বাগদা বিধানসভা কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের টিকিটে জয়ী হয়েছিলেন দুলাল বর।