কলকাতা: আজ, অর্থাৎ শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে দুয়ারে সরকার শিবির৷ রাজ্যজুড়ে শুরু হবে সপ্তম দুয়ারে সরকার৷ নবান্নের তরফে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানানো হয়েছে, প্রথম পর্বে ১ থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে শিবির। দ্বিতীয় পর্বে ১৮ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দুয়ারে সরকার শিবিরে বিভিন্ন পরিষেবা প্রদান করা হবে। এবারের দুয়ারে সরকার শিবিরে থাকছে একাধিক চমক৷ আনা হচ্ছে বেশ কিছু নতুন পরিষেবা৷
দুর্গাপুজোর আগে দুয়ারে সরকার শিবির বহু মানুষের কাছেই বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এবারের শিবিরগুলিতে বেশ ভালই ভিড় হবে বলে মনে করা হচ্ছে। পুজোর আগে সামাজিক প্রকল্পগুলির সুবিধা পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে সাধারণ মানুষ৷ এবারের ক্যাম্পে শুধু বার্ধক্য ভাতাই নয়, মিলবে আরও কয়েকটি প্রকল্প৷ যেমন-এবার দুয়ারে সরকার শিবিরে শ্রম বিভাগের অধীনে পরিযায়ী শ্রমিকদের নথিভুক্তিকরণ করা হবে।
ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগ ও বস্ত্র বিভাগের অধীনে উদ্যম পোর্টালে নাম নথিভুক্ত করা হবে। এছাড়াও হস্তশিল্পী ও তাঁত শিল্পীদেরও তালিকাভুক্তিকরণ করা হবে। এই বছর শুধু তফসিলি জাতি এবং উপজাতিই নয়, জেনারেল ক্যাটাগরির ষাটোর্ধ্ব পুরুষ ও মহিলা সকলের জন্যেই বার্ধক্য ভাতা চালু করছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। বৃহস্পতিবার নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলন করে সেকথা জানান রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। শুক্রবার থেকেই ‘দুয়ারে সরকার’ শিবিরে বার্ধক্য ভাতার আবেদন জমা নেওয়া হবে৷
দুয়ারে সরকারের শিবির থেকে মোট ৩৫টি সরকারি প্রকল্পের সুবিধা দেওয়া হবে। প্রতিবারের মতো এবারেও বুথ স্তরে স্থায়ী এবং ভ্রাম্যমান দুই ধরনের শিবিরের আয়োজন করা হয়েছে। রাজ্য জুড়ে ইতিমধ্যেই পূর্বনির্ধারিত এক লক্ষ শিবিরে আবেদনপত্র গ্রহণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এতদিন জয় জওহর এবং তপশিলি বন্ধু প্রকল্পে তপশিলি জাতি ও উপজাতির ৫৯ ঊর্ধ্ব ব্যক্তিরাই আবেদন করতে পারতেন৷ তবে এবার যাঁরা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের সুবিধা পান, তাঁরা ৬০ পেরলেই অটোমেটিক বার্ধক্য ভাতা পেতে শুরু করবেন। যাঁরা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পান না, অথচ ৬০ পেরিয়ে গিয়েছে, তেমন মহিলা ও পুরুষদের বার্ধক্য ভাতার জন্য পৃথক ভাবে আবেদন করতে হবে৷ শর্তাবলী মেনে আবেদন করলে মাসে ১ হাজার টাকা করে বার্ধক্যভাতা মিলবে। তবে জেনারেল ক্যাটাগরির কোনও ব্যক্তি সরকারের অন্য কোনও প্রকল্প থেকে যদি পেনশন পান, তাহলে তাঁদের ক্ষেত্রে এই পেনশন দেওয়া হবে না। কোনও মহিলা বিধবা ভাতা পেলে, নতুন করে বার্ধক্য ভাতা পাবেন না৷
পাশাপাশি কন্য়াশ্রী, যুবশ্রী, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, খাদ্যসাথী, স্বাস্থ্যসাথী, জাতিগত শংসাপত্রের মতো পরিষেবার পাশাপাশি বিধবা ভাতা, এবিসি-দের স্কলারশিপ প্রকল্প মেধাশ্রী, মাইক্রো ইরিগেশন প্রকল্প এবং ভবিষ্যৎ ক্রেডিট কার্ড সংক্রান্ত সমস্ত প্রকল্পের পরিষেবাও এবার পাওয়া যাবে দুয়ারে সরকার শিবিরে৷