মোবাইলে মন দিলে লক্ষ্য পূরণ হবে না, কলকাতায় ফিরে পড়ুয়াদের বোঝালেন চন্দ্রযানের বিজ্ঞানী

মোবাইলে মন দিলে লক্ষ্য পূরণ হবে না, কলকাতায় ফিরে পড়ুয়াদের বোঝালেন চন্দ্রযানের বিজ্ঞানী

 রাজারহাট: পড়ুয়াদের হাতে মোবাইল ফোন তাঁদের ক্রমশ বিপদের দিকে ঠেলে দিচ্ছে৷ সারাক্ষণ মোবাইলে মগ্ন থাকলে জীবনের কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছনো কখনই সম্ভব নয়। রাজারহাটের একটি সরকারি হাইস্কুলে এসে ছাত্রছাত্রীদের এমনই পরামর্শ দিলেন চন্দ্রযান-৩ এবং সৌরযান আদিত্য এল-১ এর অন্যতম বিজ্ঞানী পিনাকীরঞ্জন সরকার। তিনি নিজেও যে একেবারেই মোবাইল আসক্ত নন, সে কথাও পড়ুয়াদের জানান পিনাকীবাবু৷  প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত মোবাইলের সঙ্গে কোনও সম্পর্কই থাকে না তাঁর। পিনাকীরঞ্জনের কথায়, বিজ্ঞান হোক বা সাহিত্য-লক্ষ্য স্থির থাকলে যে কোনও বিভাগেই সাফল্য অর্জন করা সম্ভব। বুধবার রাইগাছি 
হাই স্কুলের লম্বা হল ঘরে তিনি যখন কথা বলছেন, তখন মন্ত্রমুগ্ধের মতো শুনল আগামীর ভবিষ্যৎ প্রজন্ম। 

পিনাকীবাবুর আদি বাড়ি কোচবিহার৷ ২০১৩ সালে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেন৷ ২০১৭ সালে তিনি যোগ দেন ইসরোতে৷ পুজোর ছুটিতে বাড়ি ফিরছেন তিনি। মঙ্গলবার চেন্নাই থেকে পৌঁছন দমদম বিমানবন্দরে৷  সেখান থেকে সোজা চলে আসেন রাইগাছি হাইস্কুলে। এই স্কুলে চাকরি করেন তাঁর মামা বিশ্বজিৎ সাহা। তিনি শারীরশিক্ষার শিক্ষক। চন্দ্রযানের সাফল্যের পর বিশ্বজিৎবাবু চেয়েছিলেন, তাঁর বিজ্ঞানী ভাগ্নে একবার যেন তাঁদের স্কুলে আসে। মামার অনুরোধেই চেন্নাই থেকে কলকাতায় ফিরেই স্কুলে উপস্থিত হন পিনাকীবাবু। তিনি জানান, চন্দ্রযান-৩ এর সাফল্য গোটা বিশ্বকে মহাকাথে নতুন পথ দেখিয়েছে। চন্দ্রযান ছাড়াও আদিত্য এল-১ রকেট অ্যাসেম্বল করা, অরবিটে পাঠানো, সেফটি ও সিকিউরিটি সিস্টেমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হয়েছে তাঁকে। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *