নয়াদিল্লি: উৎসবের মরশুমে দাম কমতে পারে সিএনজি এবং পাইপযুক্ত প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম। দেশীয়ভাবে উৎপাদিত গ্যাসের দাম অক্টোবরে প্রায় ২০ শতাংশ কমে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। ব্রিটিশ থার্মাল ইউনিটে প্রতি মিলিয়ন ২ ডলারেরও কম হতে পারে। সরকারি সূত্র জানিয়েছে যে কোভিড-১৯ বাজারে চাহিদার শর্তকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করেছে। এবং বিশ্বব্যাপী গ্যাসের দামও এর ফলে প্রভাবিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: পিএম-কেয়ার্স ফান্ড নিয়ে সুপ্রিম স্বস্তি কেন্দ্রের, তহবিল হস্তান্তর নয়!
গত কয়েক মাসে গ্যাসের দাম ৫০ শতাংশেরও বেশি কমেছে এবং অব্যাহত রয়েছে। এর ফলে প্রতি বছর দু'বার সংশোধিত রান্নার গ্যাসের দাম আরও হ্রাসের পথ প্রশস্ত হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। বছরে দুবার গ্যাসের দাম পরিবর্তন নিয়ে পর্যালোচনা হয়। ১ এপ্রিল, এবং তারপর ১ অক্টোবর। এ বছর বিশ্বব্যাপী উন্নয়নের পরে গ্যাসের দাম ইতিমধ্যে দু'বার সংশোধিত হয়েছে এবং তা উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। যদি এই ধারা অব্যাহত থাকে, তবে পরপর বার গ্যাসের দাম হ্রাস পাবে। এ বছরের এপ্রিলে প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম ২৬ শতাংশ হ্রাস পেয়েছিল।
আরও পড়ুন: কোন তথ্যের ভিত্তিতে নেতাজির ‘মৃত্যুবার্ষিকী’ পালন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীর? টুইট ঘিরে বিতর্ক
গ্যাসের দাম হ্রাস গ্রাহকদের জন্য সুসংবাদ। কারণ এটি সিএনজির দামে প্রভাব ফেলবে। এই সিএনজি পরিবহণের জন্য ব্যবহৃত হয়। এছাড়া ঘরে ঘরে রান্নার জন্য গ্যাস সরবরাহ হয়। সেক্ষেত্রেও দাম কমতে পারে। গ্যাসের দাম কমলে দেশীয় গ্যাস এবং সার প্লান্টগুলিতে চালিত বিদ্যুৎ প্রকল্পগুলির ব্যয়ও হ্রাস পাবে। তবে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন তেল ও গ্যাস উত্পাদনকারী সংস্থা ওএনজিসির তরফে জানানো হয়েছে এই খবর কিন্তু আখেরে খারাপ। কারণ এর ফলে মার্জিন কমবে এবং লোকসান বৃদ্ধি পেতে থাকবে। এই বছর গ্যাসের দাম কমার কারণে সংস্থাটি ৬ হাজার কোটি টাকার কাছাকাছি ক্ষতি হবে বলে জানা গিয়েছে। পুজোর আগে গ্যাসের দাম কমার খবরে আশার আলো দেখছে মধ্যবিত্ত পরিবার৷