কলকাতা: এখন আবহাওয়া পরিবর্তনের সময়। প্রত্যেক বছর এই সময় ঘরে ঘরে সর্দি-কাশি খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার। কিন্তু এই বছরটা যেহেতু স্বাভাবিক নয়, তাই হয়তো কিছু কিছু স্বাভাবিক ব্যাপার এখন সাধারণ মানুষের কাছে অস্বাভাবিক লাগছে। যেমন সর্দি-কাশি-জ্বর। করোনাভাইরাস পরিস্থিতি আবহে সামান্য সর্দি জ্বর হলে আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন মানুষ, করোনাভাইরাস সংক্রমণের আতঙ্ক। সমস্যাটা শারীরিকের থেকেও বেশি মানসিক হয়ে যাচ্ছে। এই কারণেই চিকিৎসকদের পরামর্শ নেওয়ার কথা বলছেন খোদ চিকিৎসকরাই। এই পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বেশি দরকার মানসিক স্থিরতা। তারই নিদান দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।
এখন তথাকথিত ‘সিজন চেঞ্জের’ সময়। তাই এই সময়ে ঘরে ঘরে সর্দি-কাশি হওয়া খুবই সাধারণ ব্যাপার। কিন্তু করোনাভাইরাসের সংক্রমণের উপসর্গের সঙ্গে সাধারণ শরীর খারাপের উপসর্গের মিল থাকায় অযথা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন মানুষ। এই ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ দিচ্ছেন, নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে কিছুদিনের জন্য আলাদা থাকতে, তারপর প্রয়োজন অনুযায়ী চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে। চিকিৎসক জড়িয়ে নিজের করোনাভাইরাস পরীক্ষার কথা বলেন তবেই পরীক্ষা করাতে, তার আগে অযথা যাতে কেউ আতঙ্কিত না হয়ে পড়েন সেই দিকে বাড়ির অন্যান্য সদস্যদের নজর দিতে পরামর্শ দিচ্ছেন তারা। একই সঙ্গে তারা জানাচ্ছেন, ইনফ্লুয়েঞ্জার সঙ্গে করোনাভাইরাস উপসর্গের প্রায় হুবহু মিল রয়েছে। তাই অযথা আতঙ্কিত না হয়ে নির্দিষ্ট সময় অনুযায়ী পরীক্ষা করানো উচিত, তবে তা অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী। আর যদিও বা রিপোর্ট নেগেটিভ আসে, তাহলেও পরবর্তী এক থেকে দুই সপ্তাহ থাকতেই হবে। তবে সে ক্ষেত্রে সতর্ক থাকা মানেই আতঙ্কিত হয়ে পড়া নয়।
এই পরিপ্রেক্ষিতে নির্দিষ্ট কিছু জিনিস মাথায় রাখতে পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। আবহাওয়া পরিবর্তনের এই সময় অতিরিক্ত সর্তকতা অবলম্বনও ক্ষতি করতে পারে। যেমন রাতের দিকে ঠান্ডা পড়বে এমন ভেবে দুপুর থেকে গরম পোশাক পরা যাবে না। অন্যদিকে, করোনা সংক্রমণ রোধে জলের ব্যবহার অতিরিক্ত পরিমাণে বেড়েছে এখন। সেক্ষেত্রে ঠান্ডা জলের ব্যবহারের পরিমাণ নির্দিষ্ট করতে হবে। একই সঙ্গে, গরম জল কতটা পরিমাণ ব্যবহার করতে হবে তার দিকেও নজর রাখা জরুরি। ঠান্ডা এবং গরম জলের হেরফেরের জন্যও এই সময় সর্দি-জ্বর হয়। তাই চিকিৎসকদের পরামর্শ একটাই, অযথা আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই, প্রয়োজন বুঝে চিকিৎসকদের পরামর্শ মতো কাজ করাই শ্রেয়।