বর্ষাকালে এগুলো ছুঁলেই বিপদ? ভুলেও ছোঁবেন না

কলকাতা: বর্ষাকালে কয়েকটা খাবার জাস্ট ছোঁবেন না। দই খেলেই সব সমস্যার সমাধান? বার্গার পিৎজা ওষুধের মত কাজ করবে নাকি? আসল সত্যিটা জানলে আপনি ছিটকে যাবেন।…

কলকাতা: বর্ষাকালে কয়েকটা খাবার জাস্ট ছোঁবেন না। দই খেলেই সব সমস্যার সমাধান? বার্গার পিৎজা ওষুধের মত কাজ করবে নাকি? আসল সত্যিটা জানলে আপনি ছিটকে যাবেন। শাক পাতার এত গুণ, কিন্তু বর্ষাকালে বিষ?

বর্ষাকালে পেটের সমস্যা সাংঘাতিক রকমের প্রবলেম। আর যদি এটা থেকে বাঁচতে চান তাহলে শুধু জল ফুটিয়ে খেলেই হবে না। সবুজ শাকপাতা থেকে দূরে থাকুন। হ্যাঁ একদম ঠিক শুনছেন। ভাবছেন তো? আমাদের সবসময় বলা হয় যে, শাক-সবজি খাওয়া কতটা গুরুত্বপূর্ণ, কারণ সেগুলো পুষ্টির পাওয়ার হাউজ। শাক দৃষ্টিশক্তি ভাল রাখে, পেট পরিষ্কার করে। কিন্তু তাই বলে বর্ষায়? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বর্ষাকালে কাঁচা শাকসবজি না খাওয়াই ভালো। পেটের সমস্যায় ভুগতে পারেন আপনি, হতে পারে ইনফেকশন ও। সেক্ষেত্রে যারা প্রতিদিন স্যালাড খান, তারা এই সময় কাঁচা শাক-সবজির ব্যবহার এড়িয়ে চলুন।

আর হ্যাঁ মনে করে একটা শাক বর্ষাকালে মাস্ট এড়িয়ে যাবেন। বর্ষার স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়ায় লাল শাকের পাতায় ব্যাক্টেরিয়া, জীবাণু জন্ম নেয়। শাক যেহেতু মাটির উপরে হয়, তাই যে কোনো শাকের পাতায় পোকা বাসা বাঁধতে পারে। ফলে, লাল শাক কেন যে কোনো শাক বাড়িতে ভুলেও এই সময় ঢোকাবেন না। বর্ষার সময় পেটের খুব সমস্যা হয়। পরিপাকতন্ত্র এমনিই দুর্বল হয়ে পড়ে। তাই শাক খেলে পেটের রোগ বাড়তে পারে।

যেমন টক দই। এমনি সময় টক দইয়ের তো এত উপকারিতার কথা আমরা শুনি। কিন্তু বর্ষাকালে টক দই নৈব নৈব চ। দই খেলে বিশেষ করে টক দই খেলে বাড়তে পারে অ্যাসিডিটির সমস্যা। এছাড়াও বর্ষার মরশুমে দই খেলে আপনার ঠান্ডা লেগে যেতে পারে। সাধেই কি আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে বলা হয়, বর্ষাকালে দই না খাওয়াই স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। দই খেলে এই সময় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমতে পারে। তাই খুব সাবধান।

তাছাড়া বর্ষার মরশুমে আদ্র আবহাওয়ায় অনেক সময় খাবার সহজে হজম হতে চায় না। সে ক্ষেত্রে মশলাদার খাবার বা ভাজা ভুচি খেলে হজমের সমস্যা হতে পারে। বদ হজমের সম্ভাবনা বাড়তে পারে। এমনকি ঝাল খাবারও এড়িয়ে চলুন, অ্যাসিডিটি থেকে বাঁচতে। সেক্ষেত্রে পিৎজা, বার্গার বা মুখরোচক ফাস্টফুড একটু এগিয়ে যাওয়াই ভালো।

আরেকটা জিনিসও এড়িয়ে চলুন সেটা হল সামুদ্রিক মাছ। সেটা হবে আপনার স্বাস্থ্যের জন্য মঙ্গল। মনে রাখবেন বর্ষায় জলবাহিত রোগ বেশি হয়। তাই চিংড়ি বা অন্যান্য সামুদ্রিক মাছ খেলে পেটে ইনফেকশন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েই যায় এই সময়। অতএব বি কেয়ারফুল।

এছাড়াও অ্যাভয়েড করুন বাঁধাকপি, পালং, লেটুস, ফুলকপি, ব্রকলি, ব্রাসেলস স্প্রাউট, গাজর, বীট, শালগম, মূলোর মতো সবজি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *