মেজাজ হারিয়ে মহিলাকে সজোরে আঘাত, US ওপেন থেকে বহিষ্কৃত জকোভিচ

জকোভিচ বেশ কয়েকবার আর্জি জানিয়েছিলেন যে এই ঘটনা একদমই অনিচ্ছাকৃত। এই আঘাতের জন্য ওই মহিলাকে হাসপাতাল যেতে হবে না, এমন কথাও তাঁকে বলতে শোনা যায়। যদিও তাতে চিঁড়ে ভেজেনি। কোর্ট থেকে বেরিয়ে যেতে হয় তাঁকে। 

নিউইয়র্ক: সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া হল নোভাক জকোভিচের। রজার ফেডেরার (২০) এবং রাফায়েল নাদালের (১৯) গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ের কাছাকাছি পৌঁছনোর সুযোগ ছিল তাঁর। কিন্তু সম্পূর্ণ অপ্রত্যাশিত ভাবে ইউএস ওপেন থেকে ছিটকে গেলেন ‘জোকার’। তাও ম্যাচ হেরে নয়, এক ম্যাচ অফিসিয়ালকে আঘাত করায় তাঁকে বহিষ্কার করা হয়েছে এই টুর্নামেন্ট থেকে।

 

টেনিস খেলায় চেয়ার আম্পায়ার ছাড়াও দুই প্রান্তে মধ্যরেখা এবং পার্শ্বরেখায় কড়া নজর দিয়ে রাখেন কিছু ম্যাচ আধিকারিক। টেনিসের পরিভাষায় এদের লাইন জাজ বলা হয়। এদিন স্প্যানিশ প্লেয়ার ক্যারেনো বুসটাসের সঙ্গে চতুর্থ রাউন্ডের ম্যাচ চলছিল জকোভিচের। প্রথম সেট পয়েন্ট পেতে গিয়ে তিন বার ফস্কান তিনি। এরপর একবার পড়েও যান। খানিকটা হতাশা থেকেই একটি বল র্যা কেট দিয়ে মেরে পেছনে বল বয়দের দেওয়ার চেষ্টা করেন জকো। কিন্তু অসাবধানতাবশত মারায় সেই বল সোজা গিয়ে এক মহিলা লাইন জাজের গলায় গিয়ে আঘাত করে। 

 

তৎক্ষণাৎ সেই মহিলাটি আর্তনাদ করে বসে পড়েন এবং সঙ্গে সঙ্গে এগিয়ে যান জকোভিচ। তাঁর কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করেন। খেলা আবার শুরু হতেই পারত কিন্তু এর মধ্যে ইউএস ওপেনের সোয়েরেন ফ্রিমেল আর্থার অ্যাশ স্টেডিয়ামের কোর্টে নেমে আসেন। চেয়ার আম্পায়ারের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা করে জকোভিচকে টুর্নামেন্ট থেকেই বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নেন। জকোভিচ বেশ কয়েকবার আর্জি জানিয়েছিলেন যে এই ঘটনা একদমই অনিচ্ছাকৃত। এই আঘাতের জন্য ওই মহিলাকে হাসপাতাল যেতে হবে না, এমন কথাও তাঁকে বলতে শোনা যায়। যদিও তাতে চিঁড়ে ভেজেনি। কোর্ট থেকে বেরিয়ে যেতে হয় তাঁকে। 

স্পষ্টতই বিরক্ত এবং হতাশ বিশ্বের এক নম্বর খেলোয়াড়টি সাংবাদিক সম্মেলন না করে স্টেডিয়াম ছেড়ে চলে যান। পরে অবশ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষমা চেয়েছেন তিনি। ইনস্টাগ্রামে তিনি লিখেছেন, ‘গোটা পরিস্থিতিতে আমি শূন্য এবং মর্মাহত বোধ করছি। ওঁর কষ্টের জন্য আমি ভীষণ ভাবে দুঃখিত।

একদমই অনিচ্ছাকৃত এবং একদমই ভুল।’ বহিষ্কার হওয়া নিয়ে তিনি বলেছেন, ‘আমাকে ফিরে গিয়ে আমার হতাশা নিয়ে কাজ করতে হবে যাতে খেলোয়াড় এবং একজন মানুষের উন্নতি এবং বিবর্তনের জন্য এই হতাশাকে শিক্ষায় রূপান্তরিত করতে পারি।’ জকোভিচ বেরিয়ে যাওয়ায় ইউএস ওপেন আরও জৌলুসহীন হয়ে পড়ল। কারণ রজার ফেডেরার বা রাফায়েল নাদাল কেউই খেলছেন না এই টুর্নামেন্ট।     
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

thirteen − 11 =