সভা থেকে মধ্যাহ্নভোজ, বাঙালিয়ানার ছাপ রেখে গেলেন নাড্ডা!

সভা থেকে মধ্যাহ্নভোজ, বাঙালিয়ানার ছাপ রেখে গেলেন নাড্ডা!

কলকাতা: সাহিত্য সম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের জন্মভিটায় বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার কিছু আগে নৈহাটিতে সাহিত্য সম্রাটের বাড়িতে পৌঁছন তিনি। সঙ্গে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং এবং বঙ্গ বিজেপির পর্যবেক্ষক কৈলাশ বিজয়বর্গীয়। এদিন মঞ্চে উঠে ফের একবার উপস্থিত সকলকে ঝরঝরে বাংলায় ‘নমস্কার’ বলে অভিবাদন জানান৷  বললেন, “সাহিত্য সম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের এই পুণ্য জন্মস্থানে এসে আমি নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছি৷” পাশাপাশি এদিন নাড্ডা বঙ্কিমচন্দ্রের লেখা ‘আনন্দমঠ’ উপন্যাসের কথা উল্লেখ করে বলেন, “আনন্দমঠের মতো ঐতিহাসিক উপন্যাস রচনার মাধ্যমে বঙ্কিমচন্দ্র ভারতবাসীকে ব্রিটিশ শাসনের হাত থেকে মুক্তির জন্য ভাবিয়ে তুলেছিল৷”

এদিন নাড্ডা আরও বলেন, “সাহিত্য সম্রাটের এই জন্ম ও কর্মভূমিকে আমি প্রণাম জানাই কারণ এই ভূমিতে বসেই তিনি বন্দেমাতরম রচনা করেছিলেন৷” বঙ্কিমচন্দ্রের পাশাপাশি এদিন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি স্বামী বিবেকানন্দ, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, বিদ্যাসাগর এবং শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের কথা উল্লেখ করে বলেন, “এনাদের অনুপ্রেরণা নিয়ে বাংলাকে সোনার বাংলা গড়ে তুলতে বিজেপি সবরকম পদক্ষেপ গ্রহণ করবে৷”

এদিন নৈহাটির বঙ্কিম জন্মস্থান সভা শেষে এক জুটমিল শ্রমিকের বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজন সারেন বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সভাপতি। বঙ্গ-জামাতা জয়প্রকাশ নাড্ডার এদিনের খাবার মেনু ছিল প্রতিদিনের মতোই নিরামিষ। নাড্ডার পাতে এদিন ছিল ভাত, ডাল, দুটি সব্জি, চাটনি, পাঁপড় এবং দুই ধরণের মিষ্টান্ন। উল্লেখ্য, এর আগেও বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি  যখন বাংলা সফরে এসেছিলেন, তখনও তিনি বিভিন্ন বিপন্ন মানুষের বাড়িতেই সেরেছিলেন দুপুরের আহারকার্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *