কলকাতা: বাংলাজুড়ে এখন ভোট উৎসবের গরম হাওয়া৷ শুরু হয়ে গিয়েছে ভোটের কাউন্টডাউন৷ এরই মধ্যে প্রকাশিত হল এডিআরএ- রিপোর্ট৷ যেখানে ক্ষমতায় থাকা তৃণমূল সরকারের সম্পত্তির খতিয়ান দেখে অনেকেরই চক্ষু চড়কগাছ৷ ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ক্রমশ ফুলে ফেঁপে উঠেছে তৃণমূলের ভাঁড়ার৷ প্রথম পাঁচ বছরেই কোনও কোনও বিধায়কের সম্পত্তি বেড়ে গিয়েছিল তিনশো গুণ৷ কারও ছ’শো গুণ৷ তো কারও আবার এক হাজার শতাংশ! তবে দলগত দিক থেকে বিজেপি’র থেকে অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে রাজ্যের শাসক দল৷
আরও পড়ুন- দেশের সবচেয়ে ধনী দল এখনও বিজেপি! উপছে পড়ছে শ্রীবৃদ্ধি! কত সম্পদ জানেন?
অ্যাসোসিয়েশন অফ ডেমোক্রেটিক রিফর্মসের পেশ করা রিপোর্ট অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতায় থাকা তৃণমূলের মোট সম্পদের পরিমাণ ছিল ২৬ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা (২০১৬–১৭ অর্থবর্ষ)। ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে তা বেড়ে হয় ২৯ কোটি ১০ লক্ষ টাকা৷ বৃদ্ধি ১০.৮৬ শতাংশ৷
আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলগুলির ঘোষিত তথ্য ও আয়কর রিটার্ন বিশ্লেষণ অ্যাসোসিয়েশন অফ ডেমোক্রেটিক রিফর্মসের পেশ করা রিপোর্ট বলছে, ২০১৬-১৭ অর্থবর্ষে পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতায় থাকা তৃণমূলের মোট সম্পদের পরিমাণ ছিল ২৬ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা৷ ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে তা বেড়ে হয় ২৯ কোটি ১০ লক্ষ টাকা৷ অর্থাৎ এক বছরে তাঁদেক আর্থিক বৃদ্ধি হয় ১০.৮৬ শতাংশ৷ কিন্তু ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে বিপুল বৃদ্ধি ঘটল শাসক দলের৷ এই এক বছরে তৃণমূলের সম্পত্তি বেড়ে হয়েছে ২১০.১৯ কোটি টাকা৷ তৃণমূলের চেয়ে কিছুটা এগিয়ে রয়েছে বাম শিবির৷ ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে তাঁদের সম্পত্তির পরিমাণ ৫১০.৭১ কোটি টাকা৷
আরও পড়ুন- যারা গদ্দার, মীরজাফর, তারা আজ বিজেপি প্রার্থী! দলবদলুদের তোপ মমতার
অন্যদিকে, ২০১৮-১৯ সালে বিজেপির সম্পত্তি ছিল ২ হাজার ৯০৪ কোটি টাকা। কংগ্রেসের ৯২৮ কোটি টাকা। আর তৃতীয় স্থানে থাকা মায়াবতীর বিএসপি’র সম্পত্তি ছিল ৭৩৮ কোটি টাকা। সেই নিরিখে তৃণমূল কংগ্রেসের সম্পত্তি ছিল অনেকটা কম।
জাতীয় রাজনীতিতে কোণঠাসা এবং পশ্চিমবঙ্গ-ত্রিপুরায় ক্ষমতাচ্যুত সিপিএমের সম্পত্তির পরিমাণ ৫১০ কোটি টাকা। মুলায়ম ও অখিলেশ যাদবের এসপি এখনও জাতীয় রাজনৈতিক দলের তকমা পায়নি। তবে সম্পত্তির নিরিখে তাদের দল যে কোনও জাতীয় দলের সমকক্ষ৷ তাদের সম্পত্তির মূল্য ছিল প্রায় ৫৭২ কোটি টাকা৷
দেখুন রিপোর্ট-
Analysis of Assets & Liabilities of National & Regional Political Parties- FY 2018-19
ANALYSIS OF ASSETS & LIABILITIES OF NATIONAL PARTIES – FY 2016-17 and 2017-18