নন্দীগ্রাম: দ্বিতীয় দফার ভোট গ্রহণকে কেন্দ্র করে কার্যত রণক্ষেত্র নন্দীগ্রাম। সম্মুখ সমরে বিজেপি ও তৃণমূল কর্মীরা। পরিস্থিতি সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে কেন্দ্রীয় বাহিনীও। ভোট লুঠের অভিযোগ নিয়ে সরাসরি আদালতের দ্বারস্থ হতে চলেছেন নন্দীগ্রামের তৃণমূল প্রার্থী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কে ফোন করে এই নিয়ে অভিযোগও জানিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। এই নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে রাজ্যে শুরু হয়েছে দ্বিতীয় দফার ভোট গ্রহণ। উত্তেজনার খবর আসছে দ্বিতীয় দফার ৩০টি ভোট কেন্দ্র থেকেই। ইতিমধ্যেই নন্দীগ্রামের বয়ালের ভোট বুথে রয়েছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বুথে আসার সঙ্গে সঙ্গেই উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়। ঢিল ছোড়া দূরত্বে দাঁড়িয়ে ফুঁসছে তৃণমূল ও বিজেপির স্থানীয় কর্মীরা। দুই দলই একে অপরের বিরুদ্ধে বহিরাগত লোক নিয়ে এসে বুথ দখলের অভিযোগ এনেছে। মমতার অভিযোগ, “কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের উস্কানিতেই বিজেপি বহিরাগতদের নিয়ে অশান্তি বাধানোর চেষ্টা করছে। নির্বাচন কমিশনে একের পর এক অভিযোগ করেও কোনও লাভ হয়নি। এখনও কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছে না কমিশন।”
বিজেপি রাজ্য সভাপতি এর জবাবে বলেছেন, “কোথাও কোনো অসুবিধা হচ্ছে না। ভোট যারা দিতে আসছেন তারা কাগজ দেখালেই ভোট দিতে পারবেন। এতে অসুবিধা হওয়ার কথা না। তৃণমূল নেত্রী বুঝতে পেরেছেন তিনি হেরে যাচ্ছেন, তাই তিনি বেরিয়েছেন। সাধারণ মানুষকে উত্তেজিত করার চেষ্টা করছেন। বহিরাগত লোক নিয়ে এসে অশান্ত পরিবেশ সৃষ্টি করার চেষ্টা করছেন।” মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, “ইতিমধ্যেই ৮০ শতাংশ ছাপ্পা ভোট হয়ে গিয়েছে। এর বিরুদ্ধে আদালতে যাচ্ছি।” জবাবে দিলীপ জানালেন, “এসব অবাস্তব কথাবার্তা। ৮০ শতাংশ ছাপ্পা ভোট ওনার দল করতে পারবে না। হেরে যাওয়ার ভয় উনি এইসব অভিযোগ করছেন।”