কলকাতা: নন্দীগ্রামে আহত হওয়ার পর থেকে হুইল চেয়ারে বসেই চলছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচার যুদ্ধ৷ তবে তাঁর চোট লাগা নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বিরোধীরা৷ বুধবার তৃণমূল নেত্রীর পা ভাঙা নিয়ে কটাক্ষ করতে গিয়ে বেনজির ভাষায় আক্রমণ শানান দিলীপ ঘোষ৷ এমনকী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘বারমুডা’ পরার পরামর্শ দিয়ে বসেন তিনি৷ তাঁর এই বারমুডা মন্তব্যে রাজ্য জুড়ে বিতর্কের ঝড়৷ তবে এই মন্তব্যের জন্য বিন্দুমাত্র ক্ষমাপ্রার্থী নন তিনি৷ বরং নিজের অবস্থানে অনড় থেকেই এই মন্তব্যের ব্যাখ্যা দিলেন বঙ্গ বিজেপি’র সভাপতি৷ বললেন পা দেখিয়া বাংলার সংস্কৃতিতে অপমান করছেন মুখ্যমন্ত্রী৷
আরও পড়ুন- ‘অশান্তির ইন্ধন দিচ্ছেন মমতা’, কমিশনে নালিশ বিজেপির! ক্ষমা চাইলেন গেরুয়া জিতেন্দ্র!
এদিন দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের মুখ্যমন্ত্রী৷ তিনি একজন মহিলা৷ আমরা তাঁর কাছ থেকে এমন শালীনতা আশা করব যেটা বাংলার সংস্কৃতির পরিচায়ক হবে৷ একজন মহিলা শাড়ি পড়েছেন অথচ বারবার পা বার করে দেখাচ্ছেন, এটা শালীনতা নয়৷ আমি এর প্রতিবাদ করেছি৷ মহিলারাও এই বিষয়টি ভালো চোখে দেখছে না৷’’ তাঁর কথায়, বংলার মা বোনেরাও শাড়ি পড়েন৷ শাড়ি শালীনতার প্রতীক৷ কিন্তু উনি দিনের পর দিন পা দেখাচ্ছেন৷ এটা একেবারেই ঠিক নয়৷ এটা বাংলার সংস্কৃতির পরিপন্থী৷
আরও পড়ুন- ভোটের মুখে খাস কলকাতায় টাকা বিলি! বাম নিশানায় তৃণমূল প্রার্থী জাভেদ খান
প্রসঙ্গত, গতকাল পুরুলিয়ায় দলীর প্রার্থীর সমর্থনে সভা করার সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘বারমুডা’ পরার পরামর্শ দিয়েছিলেন তিনি৷ তৃণমূল সুপ্রিমোকে বিঁধে দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন, ‘‘ওঁনার পায়ের প্লাস্টার কাটা হয়ে গেল৷ আবার নতুন করে ব্যান্ডেজও বাঁধা হয়ে গিয়েছে৷ সারাক্ষণ সেই পা তুলে সবাইকে দেখাচ্ছেন৷ উনি শাড়ি পড়েছেন৷ কিন্তু ওঁনার একটা পা ঢাকা আর একটা পা খোলা৷ এমন শাড়ি কাউকে পড়তে দেখিনি৷ উনি যদি একটা পা বার করেই রাখতে পারেন, তাহলে আর শাড়ি পড়ছেন কেন, বারমুডা পরতে পারেন! তাহলে আরও পরিষ্কার দেখা যাবে৷ আর কত নাটক দেখব৷’’ তাঁর মন্তব্যকে কেন্দ্র করেই বিতর্কের ঝড় ওঠে৷