লালবাড়ি নয়, নীল বাড়ির চেয়ারে বসবেন BJP-র মুখ্যমন্ত্রী, ঘোষণা দিলীপের

দিন কয়েক আগে শমীক ভট্টাচার্য বলেছিলেন ক্ষমতায় এলে রাইটার্স বিল্ডিং ফেরানো হবে

কলকাতা: ক্ষমতায় এলে রাজ্যের প্রশাসনিক কার্যালয় নীল বাড়ি থেকে ফের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে লাল বাড়িতে, দিন দুয়েক আগে এমনটাই মন্তব্য করেছিলেন রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য। ভোটমুখী বাংলার রাজনৈতিক উত্তাপে ইন্ধন জুগিয়েছিল গেরুয়া নেতার এই বক্তব্য। কিন্তু প্রথম দফার নির্বাচনের ৭ দিন আগে দলীয় মুখপাত্রের সেই আশ্বাসকে উড়িয়ে দিলেন গেরুয়া রাজ্য সভাপতি স্বয়ং।

পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি ক্ষমতায় এলে নীল বাড়ি নবান্নেই বসবেন পদ্ম শিবিরের মুখ্যমন্ত্রী, এদিন দলীয় সভা মঞ্চ থেকে এমনটাই জানিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, “বিজেপি নবান্ন দখলের জন্যেই লড়াই করছে। আর সেই লড়াইয়ে আমরা ২০০ আসনে জিতব।” সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী যিনি হবেন তিনি নবান্নের চেয়ারেই বসবেন, স্পষ্ট জানান দিলীপ ঘোষ। তাঁর এই মন্তব্যের সঙ্গে দিন কয়েক আগে শমীক ভট্টাচার্যের বক্তব্যের ফারাক চোখে পড়ার মতো।

এদিন খড়গপুরের বিজেপি প্রার্থী তথা টলিউড অভিনেতা হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের সমর্থনে সেখানে পদ্ম জনসভায় যোগ দেন স্বয়ং নরেন্দ্র মোদী। মোদীর এই সভা মঞ্চ থেকেই রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ফের আওয়াজ তোলেন দিলীপ ঘোষ। গেরুয়া সভাপতির এদিনের ভাষণের প্রথম থেকে শেষ অবধি আত্মবিশ্বাস ছিল তুঙ্গে। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে তিনি আরো বলেন, “২ মে’র পর কালীঘাটে বসে অবসর জীবন যাপন করবেন মমতা।”

বস্তুত, দিন কয়েক আগে এক সাংবাদিক সম্মেলনে বসে বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেছিলেন, “২০২১ সালে পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর নবান্ন থেকে আমরা প্রশাসনিক কার্যালয় রাইটার্স বিল্ডিং-এ নিয়ে আসব।”  এহেন পদক্ষেপের কারণও ব্যাখ্যা করেছিলেন তিনি। তাঁর কথায়, “রাইটার্স বিল্ডিংয়ের সঙ্গে জড়িয়ে আছে বাঙালির আবেগ। স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় থেকে ইতিহাসের পাতায় এই বিল্ডিংয়ের নাম রয়েছে।” রাজ্যের বহু উত্থান পতনের সাক্ষী এই বিল্ডিংকে হাতিয়ার করে বাঙালি আবেগে নাড়া দেওয়ার পরিকল্পনা শমীক ভট্টাচার্যের বক্তব্য থেকে ছিল পরিষ্কার। কিন্তু দিলীপ ঘোষ এদিন সেই পরিকল্পনার ধারে কাছ দিয়েও হাঁটেননি। বরং নীল বাড়িতেই ফোকাস করছে তাঁর দল, জানিয়ে দিয়েছেন সাফ কথা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

1 × two =