দিঘা: শহর হোক বা জেলা, তিনি যেখানেই থাকুন না কেন সকালে উঠে প্রাতঃভ্রমণ বেরনোটা কিন্তু মাস্ট৷ কলকাতার ইকো পার্কে তাঁর দেখা মেলে আকছাড়৷ প্রাতঃভ্রমণের পাশাপশি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গেও কথা বলেন তিনি৷ বাইট দিতে তিনি পিছপা হন না৷ বুধের সকালে এহেন দিলীপ ঘোষের মুখে অন্য বুলি৷ বললেন, ‘‘কোনও রাজনীতির কথা নয়! আমি বাইট দিই না!’’
সদ্য সমাপ্ত লোকসভা ভোটে বর্ধমান-দুর্গাপুর আসনে তৃণমূলের কীর্তি আজাদের কাছে ১ লক্ষ ৩৭ হাজার ভোটে পরাজিত হন তিনি৷ এর পর থেকে প্রকাশ্যেই দলের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ এনেছেন। তুলেছেন ‘কাঠিবাজি’র অভিযোগ। তবে বেশ কিছু দিন শিরোনামে ছিলেন না দিলীপ৷ বুধবার তাঁর দেখা মিলল বৃষ্টিস্নাত দিঘায়৷ তবে অন্য মেজাজে! দিঘার সৈকতে ঘুরতে ঘুরতেই পর্যটকদের আবদার মিটিয়ে তুললেন সেলফি৷ মাছের বাজারে ঢুকে করলেন দরদাম৷ খোঁজ নিলেন নতুন মাছের৷
তবে মুখ খুললেন গণপিটুনি প্রসঙ্গে৷ বললেন, ‘‘১ জুলাই থেকে দেশে নতুন আইন চালু করেছে আমাদের সরকার। যেখানে গণপ্রহারের সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড। তৃণমূল এই আইনের বিরুদ্ধে আদালতে যাচ্ছে। কারণ, ওরা গুন্ডাদের পোষে, গুন্ডাদের সাংসদ, বিধায়ক করে!” রাজ্যের বুদ্ধিজীবীদের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন দিলীপ৷ তাঁর প্রশ্ন, ‘‘বাংলা জুড়ে হিংসার রাজনীতি হচ্ছে। মহিলাকে রাস্তায় বিবস্ত্র করে পেটানো হচ্ছে। এখন বুদ্ধিজীবীরা কোথায়?’’