কলকাতা: রাত পোহালেই শুরু ভোট গণনা৷ রাজনৈতিক দলগুলিতে বটেই অপেক্ষার প্রহর গুণতে শুরু করেছে আমআদমিও৷ বঙ্গে জয়ের বিষয়ে ১০০ শতাংশ আশাবাদী দিলীপ ঘোষ৷ তাঁর কথায়, ‘‘রাজ্যে নতুন সরকার আসতে চলেছে৷ কাল ফল প্রকাশের পরেই থেমে যাবে গুলির আওয়াজ৷’’
আরও পড়ুন- নন্দীগ্রামে মমতার বাড়ির সামনে পুড়ল তৃণমূলের পতাকা-ফেস্টুন, পৌঁছল ১ কোম্পানি বাহিনী
কোভিড প্রটোকল মেনেই রবিবাসরীয় সকালে শুরু হবে ভোট গণনা৷ প্রতিটি কেন্দ্রে থাকছে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা৷ গণনা কেন্দ্রের ভিতরে মোতায়েন থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী৷ আর গণনা কেন্দ্রের বাইরে পাহাড়ায় থাকবে রাজ্য পুলিশ৷ কমিশনের সাফ নির্দেশ গণনা কেন্দ্রে ঢোকার আগে প্রত্যেক কর্মীকে দেখাতে হবে কোভিড নেগেটিভ সার্টিফিকেট৷
তবে গণনার আগের দিন রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মিলেছে বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর৷ নৈহাটিতে বোমাবাজির ঘটনায় ২ জন আহত হয়েছেন৷ আবার কাটোয়ায় মহকুমাশাসকের অফিসে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে৷ কেতুগ্রামের বিজেপি প্রার্থীর নেতৃত্বে হামলা চালানোর অভিযোগ৷ হাড়োয়া থেকে উদ্ধার হয়েছে ৪টে তাজা বোমা। আবার নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অস্থায়ী বাসভবনের সামনে পোড়ানো হয় তৃণমূলের পতাকা-ফেস্টুন৷
আরও পড়ুন- তৃণমূলে ‘খুচরো’ দুর্নীতি হলে, বিজেপি’তে হয় ‘হোলসেল’, তোপ ডেরেকের
জেপি পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতায় এলে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি রয়েছে রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের। আপাতত সেই সম্ভাবনাই বাস্তবায়নের পথে হাঁটছে বিজেপি নেতৃত্ব। প্রথম থেকেই খানিকটা এই ইঙ্গিত মিলেছিল। আর এখন তো বিজেপি বাংলা দখলের দোরগোড়ায় (অন্তত তাদের এটাই দাবি)! তাই দিলীপ ঘোষকে নিয়ে চর্চা এমনিতেই তুঙ্গে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রিত্বের ‘দৌড়ে’ এগিয়ে থেকেও আপাতত উদাসীন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। বলছেন, আমি কাজ করে যাচ্ছি।