পুলিশের চাকরি ছেড়ে সবজি বিক্রি করুন, অন্তত আপনার ছেলে বলবে বাবা সৎ: দিলীপ

এর সঙ্গে যোগ করলেন, ‘ওদের বউরাও মনে হয় ওদের দেখে হাসে। বলে, আমার শাড়িটা পরে যাও, ওই ড্রেস পরার কী দরকার।’ দিলীপের এই কথায় সভায় হাসির রোল ওঠে। 

7b114517c1fd2fbcbc2d21dc094539be

বেলঘরিয়া: ফের বেলাগাম দিলীপ ঘোষ। পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি লাগামহীন কুকথা বলায় পরিচিত লাভ করেছেন অনেকদিন ধরেই। তা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় যেমন ট্রোল হয় তেমন দলীয় কর্মীরা গর্ববোধও করেন। বাংলায় গেরুয়া শিবিরকে ক্ষমতায় আনতে এখন প্রায় রোজই বিভিন্ন জায়গায় সভা করছেন তিনি। এই সভার পোশাকি নাম ‘চায়ে পে চর্চা’। এদিন বেলঘরিয়ায় চায়ে পে চর্চায় পুলিশকে আক্রমণের নিশানা করলেন দিলীপ। বললেন, পুলিশের চাকরি ছেড়ে তাঁদের সবজি বিক্রি করা উচিত। 

দু’দিন আগে পানিহাটি বিধানসভায় চায়ে পে চর্চায় গিয়েও পুলিশের ভূমিকা নিয়ে খড়্গহস্ত হয়েছিলেন বিজেপি সভাপতি। বলেছিলেন, তাঁরা সবাই তৃণমূলের চামচাগিরি করে। এদিন বেলঘরিয়ায় দাঁড়িয়ে বললেন, ‘ওসি-আইসির কোনও মেরুদণ্ড নেই। ওদের জন্য আমার দুঃখ হয়।’ এর সঙ্গে যোগ করলেন, ‘ওদের বউরাও মনে হয় ওদের দেখে হাসে। বলে, আমার শাড়িটা পরে যাও, ওই ড্রেস পরার কী দরকার।’ দিলীপের এই কথায় সভায় হাসির রোল ওঠে। 

এখানেই থেমে যাননি তিনি। পুলিশকর্মীদের সবজির ব্যবসায়ে নামার নিদান দিয়েছেন দিলীপ। পুলিশদের উদ্দেশে বলেন, ‘সবজি বিক্রি করুন, সেটা তাও সম্মানের। আপনার ছেলে অন্তত বলতে পারবে, বাবা সবজি বেচে, সৎ পথে আয় করে। কিন্তু আমার বাবা পুলিশ! একথা বলতে পারবে না।’ সভাস্থলে আবারও জোর হাসির রোল ওঠে বিজেপি সভাপতির এই ভাষণে। বোঝাই যাচ্ছে, আগামী বছরের বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে ফেলেছেন দিলীপ। তাই করোনার ভয় উপেক্ষা করেই সভা করছেন তিনি। অবশ্য গতকালই তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, করোক্লিয়ার নেই, সে চলে গেছে। দিলীপ ঘোষের এই একটা কথা অন্তত সত্যি হোক, চাইছেন রাজ্যবাসী।      
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *