সভাপতি পদে বসে ফের কাঁদলেন দিলীপ, তুললেন আত্মত্যাগের কথা

সভাপতি পদে বসে ফের কাঁদলেন দিলীপ, তুললেন আত্মত্যাগের কথা

কলকাতা: দ্বিতীয় দফায় সভাপতি পদ দখল নেওয়ার পর ফের প্রকাশ্যে মঞ্চে কেঁদে ফেললেন নবনিযুক্ত রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ৷ আজ ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে কর্মীদের ধন্যবাদজ্ঞাপন ভাষণে শুরুতেই কেঁদে ফেলেন দিলীপ৷

ভারী গলায় বলতে থাকেন, ‘‘কর্মীদের আত্মত্যাগের কারণেই ২৮ জন সাংসদ দিল্লিতে আজ গিয়েছেন৷ কর্মীদের মনোবল বিজেপির একমাত্র সম্পদ৷ কর্মীদের আত্মত্যাগ আমাদের সকলকে শিক্ষা নেওয়া উচিত৷ তাঁরা মাঠে ময়দানে প্রতিদিন যুদ্ধ করছেন৷ সংগঠনটির বাড়িয়ে তুলেছেন৷ তাঁদের জন্যই আজ বিজেপির এত বড় সাফল্য৷ আমার খুব খারাপ লাগে, যখন আমাকে আমাদের কর্মীদের মৃতদেহের উপর মালা দিতে হয়৷ তখন আমি নিজেকে সামলাতে পারি না৷’’

জানিয়ে দেন, ‘‘বিজেপিতে কোনভাবেই ময়দান ছাড়ব না৷ বিজেপি কোনও ভাবেই ময়দান ছাড়বে না৷ চোখে চোখ রেখে লড়াই করবে৷  অনেকেই ভাবছেন, এবার সভাপতি হিসাবে বাকি কাজ সব শেষ করব৷ কর্মীদের লড়াই আত্মত্যাগের কারণেই দলের এত বড় উত্থান ঘটেছে৷ তাঁদের প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধা থাকবে আমাদের৷ বিজেপি কোনোভাবেই ময়দান ছেড়ে পালাবে না৷ আপনারা আসুন আমরা সবাই মিলে লড়াই চালিয়ে যাই৷ আমরা যা বলব, তাই শুনতে হবে৷ সেই দিন আসছে অপেক্ষা করুন৷’’

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি পদ দ্বিতীয় বারের জন্য ছিনিয়ে নিলেন দিলীপ ঘোষ৷ দিলীপ যে পুনর্নির্বাচন হতে চলেছেন, সেখবর মাস দুই আগেই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল আজ বিকেল ডট কম৷ আজ বঙ্গ বিজেপির তরফে আনুষ্ঠানিক ভাবে রাজ্যের পরবর্তী বিজেপি সভাপতির হিসাবে দিলীপ ঘোষের নাম ঘোষণা করা হয়৷

বিজেপির সভাপতি নির্বাচন পক্রিয়া ঠিক কেমন হয়? সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত এক নেতার বলেন, অত্যন্ত মতবিরোধ যদি না থাকে, তবে, সাধারণত ব্যালট দিয়ে ভোট হয় না৷ সর্বসম্মতিক্রমে সভাপতি নির্বাচিত হয়ে থাকেন৷ সেটিই নিয়ম৷ ২০১৫ সালে বিজেপির রাজ্য সভাপতি হন দিলীপ ঘোষ৷ বিজেপি সংবিধান অনুযায়ী ২০১৮ সালেই সভাপতি হিসাবে নিজের প্রথম অধ্যায় শেষ করেছেন৷ কিন্তু, পার্টি তাঁকে দ্বিতীয় অধ্যায়ের সূচনা করতে বলেছিল অনেক আগেই৷

বিজেপির সংবিধান অনুযায়ী, একজন সভাপতি দুই বার পরপর তিন বছর করে সভাপতিত্ব করতে পারেন৷ কিংবা ৬ বছর টানা সভাপতিত্ব করতে পারেন৷ সেক্ষেত্রে যেটা আগে হবে সেটিই তাঁর সভাপতিত্বের শেষ দিন হিসাবে ধরবে পার্টি৷ দিলীপ ঘোষের ক্ষেত্রে ২০২১ পর্যন্ত সভাপতির চেয়ারে পাক হয়ে গেল৷ 'হিন্দুত্বের পোস্টের বয়' দিলীপের প্রতিদ্বন্দ্বী নেই রাজ্য বিজেপিতে৷ কেন্দ্রীয় নেতৃত্বও বিভিন্ন সময় দিলীপ ঘোষেই আস্থা দেখিয়েছেন৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *