আশিস সরকার, বিধান কর’রা কোথায়? বিনা বাঁধায় কীভাবে জয় দিলীপের?

আশিস সরকার, বিধান কর’রা কোথায়? বিনা বাঁধায় কীভাবে জয় দিলীপের?

কলকাতা: মঙ্গলবার রাতেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল। দিলীপ ঘোষ যে রাজ্য বিজেপির সভাপতি হতে চলেছেন, তা বোঝা যাচ্ছিল। কারণ বুধবার রাত পর্যন্ত তিনি প্রতিদ্বন্দ্বী বিহীন ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে কেউ মনোনয়ন জমা দেয়নি। বৃহস্পতিবার সকালে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাজ্য বিজেপির সভাপতি মনোনীত হন দিলীপ। জাতীয় গ্রন্থাগার প্রেক্ষাগৃহে তাঁর বিরুদ্ধে একটি হাতও ওঠেনি।

বিজেপির সংবিধান অনুযায়ী, একজন সভাপতি দুই বার পরপর তিন বছর করে সভাপতিত্ব করতে পারেন। কিংবা ৬ বছর টানা সভাপতিত্ব করতে পারেন। সেক্ষেত্রে যেটা আগে হবে সেটিই তাঁর সভাপতিত্বের শেষ দিন হিসাবে ধরবে পার্টি। দিলীপ ঘোষের ক্ষেত্রে ২০২৩ পর্যন্ত সভাপতির চেয়ারে থাকবে তা নিশ্চিত হয়েই ছিল। কারণ, 'হিন্দুত্বের পোস্টের বয়' দিলীপের প্রতিদ্বন্দ্বী নেই রাজ্য বিজেপিতে। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বও বিভিন্ন সময় দিলীপ ঘোষেই আস্থা দেখিয়েছেন।

২০১৫ সালে বিজেপির রাজ্য সভাপতি হন দিলীপ ঘোষ। বিজেপি সংবিধান অনুযায়ী ২০১৮ সালেই সভাপতি হিসাবে নিজের প্রথম অধ্যায় শেষ করেছেন। কিন্তু, পার্টি তাঁকে বর্ধিত পর্ব বা extension এর সূচনা করতে বলেছিল অনেক আগেই। ২০২০ যে এসে তিনি দ্বিতীয় পর্বের সূচনা করলেন। থাকবেন ২০২৩ সাল পর্যন্ত।

দিলীপের পথে কয়েক বছর ধরেই বেশ কয়েকজনের নাম শোনা গিয়েছিল। উত্তরপ্রদেশের বাঙালি নেতা আশিস সরকার বা আন্দামানের নেতা বিধান করের নাম সব থেকে বেশি শোনা যেত। যদিও রাজ্য পার্টি অফিস – ৬ নম্বর মুরলিধর সেন লেনে তাঁদের খুব বেশি দেখা যায়নি। এমন নয় যে, রাজ্য বিজেপিতে দিলীপের বিরোধী কেউ নেই। তাঁর কাজের সমালোচনা করেন অনেকেই। কিন্তু, দিলীপ ঘোষকে ক্যাপ্টেন হিসাবে মেনে নিয়েছেন সকলেই। কারণ, দার্জিলিং থেকে ডায়মন্ড হারবার – সারা বছর দৌড়ে বেড়ান দিলীপ। তাঁর পরিশ্রমের ইতি নেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *