কলকাতা: বঙ্গ রাজনীতির অতি পরিচিত মুখ তাঁরা৷ একজন প্রাক্তন৷ আরেক জন বর্তমান৷ শনিবার সকাল সকাল ফের একসঙ্গে এক ফ্রেমে৷ হানিমুনে গেলেন দিলীপ ঘোষ-সুকান্ত মজুমদার! হ্যাঁ, আজ হানিমুন রিসর্টেই ফের একসঙ্গে দেখা দেল প্রাক্তন ও বর্তমানকে৷ স্থান নদীয়ার চৌগাছা৷
আরও পড়ুন- আকাশপথে উদ্ধোধনে আসবেন মন্ত্রী, হেলিপ্যাড সুরক্ষায় বিরাট তৎপর প্রশাসন
একুশের বিধানসভা ভোটের ফল প্রকাশের পর থেকেই চরমে বিজেপি’র কোন্দল৷ শুক্রবার দাঁইহাটা ছিল তারই জলজ্যান্ত প্রমাণ৷ ভাঙচুর, মারামারি সবই হয়েছে সেখানে৷ উঠেছে গো-ব্যাক স্লোগান৷ ভেস্তে গিয়েছে সভা৷ এই ধুন্ধুমার কাণ্ডের পর শনিবার পাশাপাশি হাসিমুখে দেখা গেল প্রাক্তন ও বর্তমানকে৷ শনিবার নদিয়ার চৌগাছায় হনিমুন রিসর্টে বিজেপি’র কর্মী বৈঠক জোড়ায় উপস্থিত হলেন তাঁরা৷ পাশাপাশি বসে সভাও করলেন নব নিযুক্ত রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত ভট্টাচার্য ও প্রাক্তন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ৷
শুক্রবার কাটোয়ার দাঁইহাটায় বর্তমান রাজ্যসভাপতির সামনেই দিলীপ ঘোষকে গো ব্যাক স্লোগান দেয় বিজেপি’র কর্মীরা৷ এই ঘটনায় পর সুকান্ত মজুমদার ও দিলীপ ঘোষের প্রতিক্রিয়া ছিল ভিন্ন৷ অশান্তির কারণ নিয়ে প্রকাশ্যে দ্বিমত প্রকাশ করেন বঙ্গ বিজেপি’র দুই নেতা৷ রাজ্য বিজেপি সভাপতির কথায়, বিজেপি’র পতাকা নিয়ে কেউ বিজেপি’র সভায় ভাঙচুর করতে পারে না৷ এর পিছনে তৃণমূল কংগ্রেসের ইন্ধন আছে৷ অন্যদিকে সুকান্তর পাশে বসেই দিলীপ ঘোষ বলেন, নির্বাচনে বিজেপি ক্ষমতায় আসছে সেই লোভেই সকলে এসেছিলেন৷ অনেকে ভয় পেয়ে এই বিকৃত কাজ করছেন৷
যদিও সুকান্ত মজুমদার ও দিলীপ ঘোষের সম্পর্ক বেশ মধুর বলেই পরিচিত৷ রাজ্য সভাপতি পদে দায়িত্ব নেওয়ার পরেই প্রাক্তনের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছিলেন তিনি৷ কিন্তু তাল কেটেছিল দাঁইহাটার ঘটনা৷ তবে গতকালের অশান্তির পর সব ভুলে আজ হনিমুন রিসর্টে প্রাক্তন-বর্তমানকে একেবারে পুষ্পবৃষ্টিতে স্বাগত জানাল দলীয় কর্মীরা৷
এদিন সংবর্ধনা হল, সভাও হল৷ তবে সবটাই ছিল নিরামিষ৷ জানা গেল, বিজেপি’র বেশিরভাগ অনুষ্ঠানেই নিরামিষ রান্না হয়৷ কখনও কখনও মাছ হয়৷ তবে আজ মেনুতে ছিল ভাত, ডাল, পাঁচ মিশালি সবজি, চাটনি আর মিষ্টি৷ সব মিলিয়ে হোটেল হানিমুনে মধুরেণ সমাপয়েৎ৷