dibyendu adhikari
নিজস্ব প্রতিনিধি: বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর পথ ধরে বিজেপিতে শীঘ্রই যোগ দেবেন তমলুকের তৃণমূল সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী? রবিবার নিজের সাংসদ অফিসে বসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠান তিনি শোনার পরেই বিষয়টি নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে জল্পনা তুঙ্গে উঠেছে।
এ প্রসঙ্গে দিব্যেন্দু তাৎপর্যপূর্ণভাবে বলেছেন,”২০২৩ সাল শেষ। চব্বিশ সাল শুরু। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নতুন কী বার্তা দেন তার জন্যই শুনলাম। ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে যতদিন চেয়ারে আছেন শোনা উচিত। এটা সরকারি অনুষ্ঠান। তিনি ভাল কথাই বলেছেন। প্রধানমন্ত্রীর কথা শোনা উচিত গোটা ভারতবাসীর। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পেলে দেখা করব। আগামী দিনে যদি আমাদের মুখ্যমন্ত্রী কিছু বলেন সেটাও শুনব৷”
এর পাশাপাশি ইঙ্গিতপূর্ণ ভাবে দিব্যেন্দুকে বলতে শোনা গিয়েছে,”অনেক তৃণমূলের সাংসদ রয়েছেন তাঁরা লুকিয়ে প্রধানমন্ত্রী সঙ্গে দেখা করেন। দেশকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য সাংসদ হিসেবে যতদিন চেয়ারে আছি ততদিন চেষ্টা করব।”
পূর্ব মেদিনীপুরের দুটি লোকসভা আসন কাঁথি ও তমলুক নিয়ে যথেষ্ট উদ্বেগে রয়েছে তৃণমূল। একাধিক সূত্রের খবর, জেলা তৃণমূলের একাংশ গোপনে যোগাযোগ রেখে চলেছেন অধিকারী পরিবারের সঙ্গে। সেক্ষেত্রে দুটি লোকসভাতেই তৃণমূলে ভরাডুবি হতে পারে বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে। বহুদিন ধরে শুভেন্দু দাবি করছেন এই দুটি লোকসভাতেই বিজেপি দু লক্ষের বেশি ভোটে জিতবে। তবে আসন দুটিতে কে বা কারা প্রার্থী হবেন তা নিয়ে অবশ্য বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি শিবিরের কেউ মুখ খোলেননি। তবে শুভেন্দু তথা তাঁর ঘনিষ্ঠদের এ ব্যাপারে ইঙ্গিত বেশ স্পষ্ট। বোঝাই যাচ্ছে দিব্যেন্দু বিজেপিতে গিয়ে তমলুক কেন্দ্রে প্রার্থী হবেন। আর ভাইয়ের জেতার জন্য দাদা শুভেন্দু যে জান লড়িয়ে দেবেন, তা তো বোঝাই যাচ্ছে। তাই শেষ পর্যন্ত দিব্যেন্দু বিজেপিতে কবে যান, বা আদৌ যান কিনা, সেটাই দেখার।