dhupguri
কলকাতা: উপনির্বাচনের ৪৮ ঘণ্টা আগে শিবির বদল করে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন তিনি। শনিবার রাত পর্যন্ত যিনি ছিলেন তৃণমূলের নেত্রী, রবিবার সকালে তিনিই বিজেপিতে৷ এর পর ভোটের দিন রীতিমতো বোমা ফাটালেন প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক তথা বিজেপি নেত্রী মিতালি রায়। মঙ্গলবার বেলার দিকে ধূপগুড়ির ১৫/২০৩ নং বুথে ভোট দিতে আসেন প্রাক্তন তৃণমূল নেত্রী। সেখান থেকে বেরিয়েই বোমা ফাটান তিনি৷ তাঁর অভিযোগ, মানুষ যখন বিজেপিকে ভোট দেবে বলে ইভিএমে বোতাম টিপতে যাচ্ছেন, তখনই আলো বন্ধ হয়ে হচ্ছে। এর পরেই লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা ভোটারদের উদ্দেশে তাঁর পরামর্শ, টর্চ জ্বালিয়ে ভোট দিন৷
এদিন সকাল থেকে ধূপগুড়ির উপনির্বাচন মোটের উপর শান্তিপূর্ণ৷ এই কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক বিষ্ণুপদ রায়ের মৃত্যুর ফলে ফাঁকা হয়ে যায় আসনটি৷ নতুন করে জনপ্রতিনিধি বেছে নিতেই উপনির্বাচন হচ্ছে। সকাল থেকেই বুথে বুথে ভোটারদের লম্বা লাইন৷ ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন প্রার্থীরাও। ইতিমধ্যেই ভোট দিয়েছেন বাম-কংগ্রেস জোটপ্রার্থী ঈশ্বরচন্দ্র রায়, সস্ত্রীক ভোট দিতে এসেছিলেন তৃণমূল প্রার্থী নির্মলচন্দ্র রায় ও বিজেপি প্রার্থী তাপসী রায়। এরপরেই ভোট দিতে আসেন সদ্য তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া দলবদলু মিতালি রায়৷ নির্বিঘ্নে ভোট দিয়ে বেরিয়ে এসেই বোমাটি ফাটান তিনি৷ বলেন, ‘‘মানুষ যখন ইভিএম-এ পদ্মফুলে ভোট দিতে চাইছেন, ইভিএমের বোতাম টিপতে যাচ্ছেন, তখনই আলো নিভে যাচ্ছে। এর আগেও এমনটা ঘটেছে। প্রিসাইডিং অফিসারকে বলেও কোনও লাভ হয়নি। ওরা আসলে বুঝে গিয়েছে যে, মানুষ বিজেপিকে ভোট দিতে চাইছে, নরেন্দ্র মোদীকে ভোট দিতে চাইছে। তাই এভাবে বাধা দেওয়া হচ্ছে।’’ এর পরেই তাঁর হুঙ্কার, ‘‘তবে জেনে রাখুন, ধূপগুড়িতে ওরা জিতবে না। জিতবে তাপসী রায়ই। বিষয়টি নিয়ে নির্বাচন কমিশনকে অভিযোগ জানাব। আর বাকি ভোটারদের বলেছি, ভিতরে টর্চ নিয়ে যাবেন। ইভিএমের বোতাম টেপার সময় টর্চের আলো জ্বেলে নিন।”