চেন্নাই: গোটা দেশ এখন মহেন্দ্র সিং ধোনির অবসরের শোকে বিষাদগ্রস্ত হয়ে আছে। স্বাধীনতা দিবসের দিন সন্ধে নাগাদ তাঁর ইনস্টাগ্রামে জানিয়ে দেন, জাতীয় দলের হয়ে আর খেলবেন না তিনি। ফলে ২০১৮ বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ইনিংসটাই তাঁর নীল জার্সিতে শেষ ইনিংস হয়ে রইল। মাঠের মধ্যে আবেগের লেশমাত্র প্রকাশ না করা মাহি কি খেলা ছাড়ার সিদ্ধান্তের পরেও শান্ত ছিলেন? না, দেশের জার্সি আলমারিতে তুলে রাখার পর শোকে বিহ্বল হয়েছেন তিনিও। এমনকী কেঁদেও ফেলেছেন ভারতের সফলতম অধিনায়ক, জানা গেল এমনটাই।
মহেন্দ্র সিং ধোনির সঙ্গেই জাতীয় দল থেকে অবসর নিয়েছেন সুরেশ রায়নাও। কে না জানে ধোনি এবং রায়না অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বন্ধু। জাতীয় দলে খেলার সময় দু’জন প্রায় সবসময় একসঙ্গে থাকতেন। আইপিএল দল চেন্নাই সুপার কিংসেও বহুদিন একসঙ্গে কাটিয়ে ফেলেছেন তাঁরা। মাঠের বাইরেও ঘনিষ্ঠতা পেয়েছে সেই বন্ধুত্ব। এমনকী, ধোনির কন্যাসন্তান জন্মানোর খবর ধোনির আগে রায়নাকে জানান ধোনির স্ত্রী সাক্ষী। কারণ তখন ম্যাচের মধ্যে ছিলেন ভারত অধিনায়ক। সেই সুরেশ রায়নাই জানালেন, অবসর নেওয়ার ঘোষণার পর চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি মাহি।
রায়না জানান, ‘আমি জানতাম চেন্নাই আসার পর ধোনি ওর অবসরের কথা ঘোষণা করবে। আমিও তাই তৈরি ছিলাম। একসঙ্গে দুজনে অবসরের ঘোষণা করার পর পরস্পরকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে ফেলি।’ মাঠে যে মানুষটা অনুকূল, প্রতিকূল, যে কোনও পরিস্থিতিতেই ভাবলেশহীন থাকতেন, দুর্দান্ত সেঞ্চুরি কিংবা ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলেও যাকে অতিরিক্ত উচ্ছ্বাস করতে দেখা যায়নি, সেই ধোনির কেঁদে ফেলার কথা জেনে আরও আবেগ মথিত হয়েছে তাঁর ভক্তকুল। প্রিয় ধোনির চোখের জল কাঁদিয়েছে তাঁদেরও। তবে নীল জার্সিতে না হলেও, হলুদ জার্সিতে এখনও দেখা যাবে তাঁকে। তাই এখনও বলার সুযোগ আছে- মাহি মার রহা হ্যায়।