সাক্ষাৎ দেবদূত! রোগী ও পরিবারের মুখে রান্না করা খাবার যোগালেন দেব

করোনা সংক্রমণ এড়াতে এখন প্রতি সপ্তাহে গড়ে ২ দিন লকডাউনের ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তেমনই একটি লকডাউনের দিন ছিল বুধবার। লকডাউনের ফলে বন্ধ সমস্তত দোকানপাট। কিন্তু হাসপাতালের যাঁরা চিকিৎসাধীন তাঁদের যাতে কোনও সমস্যা না হয় তার বন্দোবস্ত করলেন ঘাটালের সাংসদ ও অভিনেতা দেব। ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালের রোগী ও তাদের পরিবারের জন্য রান্না করা খাবার পাঠালেন তিনি। বিতরণ করলেন রাম মান্না।

73ea50a7a417d04ecf210858d5e110e4

 

কলকাতা : করোনা সংক্রমণ এড়াতে এখন প্রতি সপ্তাহে গড়ে ২ দিন লকডাউনের ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তেমনই একটি লকডাউনের দিন ছিল বুধবার। লকডাউনের ফলে বন্ধ সমস্তত দোকানপাট। কিন্তু হাসপাতালের যাঁরা চিকিৎসাধীন তাঁদের যাতে কোনও সমস্যা না হয় তার বন্দোবস্ত করলেন ঘাটালের সাংসদ ও অভিনেতা দেব। ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালের রোগী ও তাদের পরিবারের জন্য রান্না করা খাবার পাঠালেন তিনি। বিতরণ করলেন রাম মান্না।

অবশ্য ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়া দেবের কাছে নতুন নয়। কিছুদিন আগে এক করোনা আক্রান্তকে হাসপাতালে ভর্তি করা নিয়ে সক্রিয় হয়েছিলেন তিনি। এক সাংবাদিক সোশ্যাল মিডিয়ার অভিযোগ করেছিলেন যাদবপুরের এক বাসিন্দা ২ দিন ধরে করোনা আক্রান্ত। নিজের বাড়িতেই পড়ে রয়েছেন তিনি। হাসপাতালে বেড থাকা সত্ত্বেও তাঁকে ভরতি নেওয়া হচ্ছে না। তাঁকে হাসপাতাল থেকে এটাও বলা হয়, স্বাস্থ্য দপ্তর না বললে তাঁকে ভরতি নেওয়া হবে না। পোস্টটি নজরে পড়তেই দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন দেব। ওই করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিকে বাঙুর হাসপাতালে ভরতির জন্য সমস্ত প্রয়োজনীয় পদক্ষপ গ্রহণ করেন দেব।

ওই পোস্টেই আক্রান্ত ব্যক্তির আত্মীয়ের ফোন নম্বর ছিল। সেখান থেকে ফোন নম্বর নিয়ে রোগীর বাড়িতে ফোন করেন সাংসদের সচিব। যাবতীয় খোঁজখবর নেন। করোনা আবহে ঘাটালের বাইরেও বহু মানুষকে সাহায্য করেছেন দেব। দুবাই, রাশিয়া, নেপালে আটকে থাকা ভারতীয়দের দেশে ফিরিয়েছেন তিনি। সাধ্যমতো সাহায্য করেছেন মানুষকে। এবারও তেমনই এক দৃষ্টান্ত গড়লেন অভিনেতা। সাধারণ মানুষের কাছে তাঁর আর্জি, বর্তমানে প্রত্যেকেই একই পরিস্থিতির শিকার। তাই এই কঠিন সময়ে সবাইকে পরস্পরের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করার কথা বলেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *