বালেশ্বর: নড়বড়ে ICF কোচ নয়, ছিল LHB (লিঙ্ক-হফম্যান-বুশ কোচ) কোচ৷ শুক্রবার ওড়িশার বালেশ্বরে দুর্ঘটনা কবলিত দু’টি যাত্রীবাহী ট্রেনের কামরাই ছিল আধুনিক৷ এলএইচবি কোচ থাকা সত্ত্বেও আপ শালিমার-চেন্নাই সেন্ট্রাল করমণ্ডল এক্সপ্রেস এবং ডাউন এসএমভিটি বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেসের একাধিক কোচের অবস্থা ভয়ঙ্কর। দুমড়ে-মুচড়ে গিয়েছে একাধিক কোচ। একটি আরেকটির ঘাড়ে উঠে পড়েছে৷ কেন হল এই হাল? রেলের কর্তারা জানাচ্ছেন, ট্রেনের গতিবেগ অত্যন্ত বেশি থাকায় এলএইচবি কোচ থাকা সত্ত্বেও দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রেন দুটির করুন পরিস্থিতি হয়েছে।
LHB কোচ কিন্তু সাধারণ কোচের চেয়ে অনেক বেশি সুরক্ষিত। এই কোচ এতটাই সুরক্ষিত যে ধাক্কা লাগলেও একটি কোচ অন্য কোচের উপর উঠে যায় না বা একে অপরের ভিতরে ঢুকে যায় না। কিন্তু বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেসের গতিবেগ এতটাই বেশি ছিল যে LHB কোচ থাকা সত্বেও শেষ রক্ষা হয়নি। একটির উপর অপর একটি কোচ উঠে সব কিছু লন্ডভন্ড হয়ে যায়। ডাউন SMVT বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস নির্ধারিত সময়ের থেকে চার ঘণ্টা দেরিতে চলছিল বলে জানিয়েছেন রেল কর্তারা৷
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, কোনও পুরনো ICF (ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরি) কোচ লাইনচ্যুত হলে, একটি অপরটির ভিতরে ঢুকে যায়। ‘ক্রস-পুল এফেক্ট’ ব্যবহার করা LHB কোচের ক্ষেত্রে সেরকম হয় না। লাইনচ্যুত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দুটি কোচের সংযোগকারী কাপলিং আলগা হয়ে গিয়ে কামরাগুলো দু’দিকে ছিটকে যায়। শুক্রবার করমণ্ডল এক্সপ্রেসের ক্ষেত্রেও তেমনটাই হয়েছিল। লাইনচ্যুত হওয়ার পর অন্য লাইনের উপর ছিটকে পড়ে করমণ্ডল এক্সপ্রেসের একাধিক বগি। কিন্তু সেই সময় ওই লাইন দিয়ে প্রবল গতিতে আসছিল ডাউন SMVT বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস। যার ধাক্কায় করমণ্ডলের বগি দুমড়ে মুচড়ে যায়৷ ধাক্কা মারার পর লাইনচ্যুত হয়ে যায় ডাউন SMVT বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেসের একাধিক বগিও।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>