কলকাতা: সিবিআই গ্রেপ্তারিতে হইচই শহর তিলোত্তমায়। দুটি পৃথক মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে কাস্টমস বিভাগের দুই বড় কর্তাকে। একজন কাস্টমসের ডেপুটি কমিশনার এবং অন্যজন সুপারিনটেনডেন্ট। শুধু দুই কাস্টমস কর্তা নয়, একইসঙ্গে দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে দুই ব্যবসায়ীকেও।
খবর, কয়েকশো কোটি টাকার দুর্নীতি মামলায় নাম জড়ায় ইন্ডিয়ান রেভিনিউ সার্ভিসের অফিসার বিকাশ কুমার ও প্রাক্তন ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার ডিআরআই (ডিরেক্টরেট অফ রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্স) অফিসার সন্দীপ দীক্ষিতের। কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, সরকারি পদ ব্যবহার করে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে দুর্নীতি করা হয়েছে। সেই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত রয়েছেন এরা সকলেই। অভিযোগ, ভুয়ো সংস্থা তৈরি করে বিদেশে রফতানি দেখিয়ে সরকারি টাকা লুঠ করা হয়।
চন্দনকাঠ পাচারেও নাম জড়ায় আইআরএসের দুই অফিসারের। হংকংয়ে চন্দনকাঠ উদ্ধারের সূত্র ধরে গোটা বিষয়টি সামনে আসে। জানা গিয়েছে, মায়ানমারে কাঠ রপ্তানিও করা হয়েছিল কলকাতা বিমানবন্দর থেকেই। সেই প্রেক্ষিতেই এই দুই কাস্টমস কর্তার গ্রেপ্তারি বলে জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য, এই তদন্ত শুরু হয়েছিল ২০১৭ সালে, কাস্টমস এবং সেন্ট্রাল এক্সারসাইজের থেকে নির্দিষ্ট কিছু অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্ত শুরু করে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা, সিবিআই। সেই প্রেক্ষিতেই গতকাল এই দুই কাস্টমস অফিসার এবং দুজন ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।
সিবিআই সূত্রে খবর, ভুয়ো নথি জমা দিয়ে কাস্টমস ডিউটি ফাঁকি দিতে বিভিন্ন যন্ত্রাংশ বাংলাদেশের পাচার করেছিলেন কাস্টমসের ডেপুটি কমিশনার বিকাশ কুমার দুবে এবং ব্যবসায়ী জ্যোতি বিশ্বাস। তখন, ৫০ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছিল বলে মনে করা হয়েছিল। অন্যদিকে, সন্দীপ কুমার দীক্ষিত নামের এক কাস্টমস সুপারিনটেনডেন্ট এবং ব্যবসায়ী সুধির ঝাকে গ্রেপ্তার করেছে সিবিআই। অভিযোগ বেআইনিভাবে কাঠ রপ্তানি করে প্রায় ১০০ কোটি টাকার দুর্নীতি করা হয়েছে। আজ এদের সকলকে বিশেষ আদালতে তোলা হয়েছে বলে সিবিআই সূত্রের খবর।