কলকাতা: রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বাড়ছে ডেঙ্গির প্রাদুর্ভাব৷ তার উপর ক্রমেই চরিত্র বদল করছে সে৷ স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা অবশ্য এ বিষয়ে আগেই সচেতন করেছিলেন। গত বছরের চেয়ে চলতি বছর রাজ্যে সংক্রমণের হার অনেকটাই বেশি। তবে নাইসেড জানাচ্ছে, ডেঙ্গির অতি সংক্রামক প্রজাতি এ রাজ্যে জাঁকিয়ে বসেনি। বরং যে স্ট্রেনের কারণে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে সেটা খুব বেশি প্রাণঘাতী নয়। তাই আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও, জটিল রোগের প্রকোপ সে ভাবে চোখে পড়ছে না৷
নাইসেডের রিপোর্ট বলছে, ডেঙ্গির চার প্রজাতির মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে সবচেয়ে বেশি ছড়িয়েছে ডেন-৩ প্রজাতি৷ সেরোটাইপিং পরীক্ষায় এই তথ্য জানতে পেরেছে নাইসেড। আক্রান্তদের রক্তে পাওয়া ভাইরাল স্ট্রেনের জিনোম সিকুয়েন্স বা জিনের গঠন বিন্যাস করে ভাইরাসের প্রকৃতি নিয়ে খোঁজখবর নিচ্ছেন গবেষকরা। স্বাস্থ্যভবনেও এই বিষয়ে রিপোর্ট জমা পড়েছে।
বিশেষজ্ঞদের কথায়, ডেঙ্গিতে নতুন নতুন উপসর্গ দেখা দিচ্ছে৷ যার জেরে রোগ নির্ণয় করতেই অনেক বেশি সময় লেগে যাচ্ছে। পরে রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে ধরা পড়ছে ডেঙ্গি। অনেকে আবার পেট ব্যথা, ডায়রিয়া, বমি, খাদ্যনালিতে সংক্রমণ নিয়েও হাসপাতালে আসছেন। অনেকের আবার কার্ডিয়াক কমপ্লিকেশন বা হৃদযন্ত্রে সমস্যা দেখা যাচ্ছে । নিউরোলজিক্যাল সমস্যাও রয়েছে। আবার ডেঙ্গিতে চোখ নষ্ট হয়ে গিয়েছে, তেমনটাই দেখা গিয়েছে। দ্রুত হারে কমছে প্লেটলেট। রক্তক্ষরণ বা ডেঙ্গি হেমারেজিক ফিভারে মৃত্যুর ঘটনাও রাজ্যে রয়েছে৷
স্বাস্থ্যকর্তারা আশ্বস্ত করে বলছেন, ডেন-৩ সংক্রামক হলেও প্রাণঘাতী নয়। তাই হাসপাতালে যাঁরা ভর্তি হচ্ছেন, তাঁরা সঙ্কটজনক পরিস্থিতিতে দেখা দিচ্ছে না। তবে কোমর্বিডিটি থাকলে ডেঙ্গি জটিল আকার নিচ্ছে। আপাতত ডেন-৩ স্ট্রেন দেখা গেলেও পরবর্তী সময়ে এই প্রজাতিই চরিত্র বদল করে আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে বলেও আশঙ্কা থাকছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।