প্রাথমিক স্তর থেকে অবিলম্বে পঠনপাঠন চালু হোক,আর্জি জানিয়ে দাবিপত্র পেশ শিক্ষামন্ত্রীর দুয়ারে

প্রাথমিক স্তর থেকে অবিলম্বে পঠনপাঠন চালু হোক,আর্জি জানিয়ে দাবিপত্র পেশ শিক্ষামন্ত্রীর দুয়ারে

কলকাতা:  করোনা স্ফীতিতে সংক্রমণ রুখতে নতুন করে বিধিনিষেধ জারি করেছে রাজ্য সরকার৷ সেই বিঘি মেনে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে স্কুল-কলেজ৷ তবে আগের মতোই ৫০ শতাংশ লোক নিয়ে মেলা, যাত্রা, শপিং মল এবং বার খোলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ এমনকী বিয়ে বাড়িতেও কিছুটা ছাড় দেওয়া হয়েছে৷ বলা হয়েছে সর্বোচ্চ ২০০ জন নিয়ে বিয়েবাড়ির অনুষ্ঠান হতে পারে৷ সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধেই সোচ্চার ম৷ সরকারের সর্বনাশা সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর নিকট দাবিপত্র পেশ করল তারা।  

আরও পড়ুন- প্রায় ৩ হাজার শূন্যপদে কনস্টেবল নিয়োগ করবে BSF, জারি বিজ্ঞপ্তি, কী ভাবে আবেদন?

মঙ্গলবার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ও প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতির কাছে বিদ্যালয়ের পরিকাঠামো অনুযায়ী স্বাস্হ্যবিধি মেনে প্রাথমিক স্তর থেকে পঠন-পাঠন চালুর দাবি জানালেন তারা। পাশাপাশি ১৭ থেকে ২২ জানুয়ারি ‘সারা বাংলা প্রতিবাদ সপ্তাহ’ এবং ‘চলো স্কুলে পড়াই’ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

করোনা আবহে গত ২ বছর ধরে রাজ্যে বন্ধ রয়েছে স্কুল-কলেজ৷ মাঝে দু’বার নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ক্লাস চালু করা হলেও সংক্রমণ বাড়াবাড়ি হতেই ফের তা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়৷ এর ফলে ব্যাপক পরিমাণে বেড়েছে স্কুলছুটের সংখ্যা৷ এমনকি বহু ছাত্র-ছাত্রী অক্ষর চিনতেও ভুলে গিয়ছে৷ যা ইতিমধ্যেই সংবাদে প্রকাশিত হয়েছে। অভিযোগ, এই সমস্যা সামাধানে কোনও পরিকল্পনা করছে না সরকার৷ 

বঙ্গীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির বক্তব্য, শিশুদের দু’বেলার পুষ্টিকর খাদ্য বা  পাঠদানের ধারাবাহিকতা রক্ষা, কোনও কিছুর জন্যেই সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নেই রাজ্য সরকারের। এমনকি এবিষয়ে শিক্ষকদের সঙ্গে মতবিনিময় পর্যন্ত করা হয়নি। শিক্ষকদের দিয়ে পাঠদান বহির্ভূত কাজ করানো হচ্ছে। আর অনলাইন শিক্ষা চালু রাখার জন্য নানান অ্যাপস চালু করা হচ্ছে৷ 

তাঁরা আরও জানায়, হু, ইউনেস্কো, ইউনিসেফ, আইসিএমআর, এইমস, রাষ্ট্রসংঘ, বিশ্বব্যাঙ্ক সকলেই শিশুদের স্কুলে যাওয়ার সুপারিশ করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে৷ অথচ সরকার তাতে কর্ণপাত করেনি বলেই অভিযোগ৷ 

একটি প্রেস বিবৃতিতে সমিতির সাধারণ সম্পাদক আনন্দ হাণ্ডা বলেন, রাজ্য সরকার করোনা সংক্রমণের অজুহাতে স্কুল বন্ধ রেখে বাস্তবে কেন্দ্রীয় সরকারের পথেই প্রথাগত শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করে অনলাইন শিক্ষাকে স্হায়ীভাবে  চালু করতে চাইছে। ফলে শিক্ষা পুরোপুরি অর্থ নির্ভর হয়ে উঠবে এবং স্কুলছুটের সংখ্যা ব্যাপকভাবে বাড়বে। 

তিনি সমস্ত স্তরের শিক্ষক সমাজের কাছে বিদ্যালয়ের পরিকাঠামো অনুযায়ী স্বাস্হ্যবিধি মেনে প্রাথমিক স্তর থেকে অবিলম্বে পঠন-পাঠন চালু করার দাবিতে আন্দোলন গড়ে তুলেছেন৷ পাশাপাশি স্কুলের ছাত্রদের পাঠদান শুরু করবার আবেদনও জানিয়েছেন৷ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *