সমস্ত ভিভিপ্যাট স্লিপ কাউন্টিংয়ের দাবি! রায়দান স্থগিত রাখল সুপ্রিম কোর্ট

সমস্ত ভিভিপ্যাট স্লিপ কাউন্টিংয়ের দাবি! রায়দান স্থগিত রাখল সুপ্রিম কোর্ট

নিজস্ব প্রতিনিধি: লোকসভা নির্বাচনে প্রত্যেকটি বুথে ইভিএমের সঙ্গে যে ভিভিপ্যাট থাকে সেই কাগজের স্লিপ মিলিয়ে ভোট গণনা করা হবে কিনা তা নিয়ে যে মামলা দায়ের হয়েছিল তাতে রায়দান স্থগিত রাখল সুপ্রিম কোর্ট। বুধবার সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, তারা নির্বাচন নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। কমিশন যেহেতু একটি সাংবিধানিক সংস্থা তাই তাদের কাজে হস্তক্ষেপ করতে পারে না সুপ্রিম কোর্ট, এমনটাই জানিয়েছেন বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের বেঞ্চ।

 

ঘটনা হল ইভিএমে পড়া ভোটের সঙ্গে ভিভিপ্যাটের কাগজ মিলিয়ে দেখতে হবে এই দাবি জানিয়ে একশোর বেশি আবেদন জমা পড়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। নির্বাচন প্রক্রিয়া স্বচ্ছ ভাবে হচ্ছে কিনা তা দেখতেই এই প্রক্রিয়া চালু হওয়া প্রয়োজন বলে আবেদনে জানানো হয় বিরোধী দলগুলির পক্ষ থেকে। নির্বাচন কমিশন জানায় সমস্ত বুথে ইভিএম-এর সঙ্গে ভিজিপ্যাটের কাগজ মিলিয়ে দেখতে হলে সেটা অতীতের ব্যালট পেপারে ভোটের মতো বিষয় হয়ে দাঁড়াবে। অর্থাৎ ফলাফল প্রকাশে অনেক দেরি হবে। 

 

ইভিএমে একজন ভোটার তাঁর পছন্দের প্রার্থীকে বোতাম টিপে ভোট দেওয়ার সাত সেকেন্ডের মধ্যেই একটি কাগজ প্রার্থীর নাম ও প্রতীক-সহ বেরিয়ে এসে অন্য একটি বক্সে জমা পড়ে যায়। ওই সময়ের মধ্যেই ভোটার দেখে নিতে পারেন তিনি ইভিএমে বোতাম টিপে যাকে ভোট দিতে চেয়েছেন সেই প্রার্থীই ভোটটি পেলেন কিনা। ভিভিপ্যাট সিস্টেমে যে কাগজের স্লিপ বের হয় সেটি দেখেই সংশ্লিষ্ট ভোটার বুঝে যান সবকিছু ঠিকঠাক হল কিনা। নির্বাচন কমিশন অনেক আগেই জানিয়েছে প্রতিটি অঞ্চল থেকে পাঁচটি বুথ বেছে নিয়ে সেখানে ইভিএমের সঙ্গে ভিভিপ্যাটের কাগজের হিসেব মিলিয়ে দেখা হবে গণনার সময়। ইভিএমের সঙ্গে কাগজের স্লিপ মিলিয়ে দেখে নেওয়া হবে সংখ্যা দুটি এক হচ্ছে কিনা। বিরোধীদের দাবি সমস্ত বুথে কাগজের স্লিপ এবং ইভিএম-এ পড়া ভোট মিলিয়ে দেখতে হবে। এক বছরের বেশি সময় ধরে এই মামলার শুনানি চলছিল সুপ্রিম কোর্টে। অবশেষে দ্বিতীয় দফার নির্বাচনের আগে সুপ্রিম কোর্ট বিষয়টি নিয়ে রায়দান স্থগিত রাখল। কমিশনের কাছে একাধিক বিষয় সম্পর্কে জানতে চেয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। সমস্ত ভিপিপ্যাটে মাইক্রো কন্ট্রোলার ইনস্টল করা আছে কিনা, সেই মাইক্রো কন্ট্রোলারকে একবারের বেশি প্রোগ্রাম করা সম্ভব কিনা, কমিশনের কাছে কতগুলি সিম্বল লোডিং ইউনিট আছে, এই ধরনের বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়েছিল। এই সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য আগেই সুপ্রিম কোর্টে জমা দিয়েছে কমিশন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত রায়দান স্থগিত রাখা হল। ফল প্রকাশের আগে সুপ্রিম কোর্ট এ ব্যাপারে রায় দেয় কিনা সেটাই দেখার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *