উত্তরপ্রদেশ: অল্পের জন্য যোগী রাজ্যে প্রাণে বাঁচলেন নির্যাতিতা৷ প্রাণ বাঁচলেও রক্ষা পায়নি শরীর৷ ফের আরও এক যুবতী ধর্ষণের শিকার হলেন৷ তবে, পুলিশি তৎপতায় বেঁচে গিয়েছে তাঁর প্রাণ৷ প্রায় প্রতি সপ্তাহে উত্তরপ্রদেশে গণধর্ষণের খবর প্রকাশ্যে আসছে৷ 'বিজেপি শাসনকালে গুন্ডারাজ বেড়েছে', অভিযোগ তুলছে বিরোধীরা৷ যোগী মহারাজও এই সব ঘটনায় বিব্রত হচ্ছেন না৷ কিন্তু রাজ্যে মহিলারা কতটা নিরাপত্তা পাচ্ছেন, উঠছে সেই প্রশ্ন৷
নির্ভয়াকাণ্ডের মতোই চলন্ত বাসের মধ্যে দিল্লির এক যুবতিকে গণধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগষ তবে নির্ভয়ার মতো বিভৎসকাণ্ড ঘটার আগেই যুবতি তাঁর মুঠোফোন ব্যবহার করে পুলিশকে খবর দেওয়ায় রক্ষা পেয়েছেন এ যাত্রায়৷ পুলিশ এসে তাঁকে রক্ষা করেন। অভিযুক্তকে পাকরাও করতেও সক্ষম হয়েছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। মেডিক্যাল পরীক্ষা করার পর পুলিশ যুবতিকে বাড়ি পৌঁছে দেয়। অন্যদিকে অভিযুক্তকে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রেখেছে পুলিশ।
দিল্লির বাসিন্দা ওই যুবতি শনিবার প্রাইভেট বাসে চেপে লখনউ থেকে ফিরছিলেন। পুলিশকে এফআইআরে যুবতি জানিয়েছে, যমুনা এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে আসার সময় ওই বাসের হেল্পার ভোরের দিকে তাঁকে ধর্ষণ করে। বসের অন্যান্য যাত্রীরা তখন ঘুমাচ্ছিলেন। ঘটনার পর বিধ্বস্ত অবস্থায় যুবতি তাঁর মুঠোফোন ব্যবহার করে পুলিশের হেল্পলাইনে ফোন করেন। বিস্তারিত জানান তাঁর সঙ্গে ঘটা বিভৎস ঘটনার কথা। এরপর মথুরার মান্ট টোলপ্লাজায় পুলিশ অপেক্ষা করতে থাকে ওই বাসের জন্য। বাসটি সেখানে পৌঁছালে নির্যাতিতার সঙ্গে অভিযুক্তকে বাস থেকে নামিয়ে নেয় পুলিশ। পাশাপাশি অন্যান্য যাত্রীদের থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য জেনে নিয়ে বাসটিকে নির্দিষ্ট গন্তব্যে যেতে দেয় পুলিশ।
তদন্তকারী অফিসার জানিয়েছেন, এই ঘটনায় অভিযুক্ত ধর্ষকের নাম রবি। রবি ওই প্রাইভেট বাসটির ক্লিনার। থানায় গিয়ে নির্যাতিতা ও অভিযুক্ত দুজনকেই প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। এরপর মেডিক্যাল পরীক্ষা করিয়ে নির্যাতিতাকে তাঁর দিল্লির রোহিনীর বাড়িতে ছেড়ে আসে পুলিশ। অভিযুক্ত রবি পুলিশি জেরায় জানিয়েছে, তার বাড়ি উত্তরপ্রদেশের বহরাইচ জেলায়। বিচারক প্রাথমিক ভাবে রবিকে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রাখার কথা জানিয়েছেন। এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে উত্তরপ্রদেশে।