নয়াদিল্লি: কেন্দ্রীয় সরকারের কৃষি আইনের বিরুদ্ধে কৃষকদের আন্দোলন নিয়ে গত কয়েক মাস ধরেই উত্তপ্ত দেশের আভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি। তবে দীর্ঘদিন ধরে শান্তিপূর্ণ থাকলেও গত মাসে প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন কৃষক বিক্ষোভে লাগে হিংসার রং। কৃষকদের ট্র্যাক্টর মিছিলকে কেন্দ্র করে সেদিন যে অশান্তির সাক্ষী থেকেছিল রাজধানী, এবার সেই তদন্তের মাঝেই আরো ২০ জন অভিযুক্ত হামলাকারীর ছবি প্রকাশ করল দিল্লি পুলিশ।
গত ২৬ জানুয়ারি সমস্ত পুলিশি বাঁধা পেরিয়ে ট্রাক্টর মিছিলের মাধ্যমে লাল কেল্লায় পৌঁছে যান আন্দোলনকারী কৃষকরা। শুধু তাই নয়, লাল কেল্লায় গিয়ে কৃষক সংগঠনের পতাকা তুলতেও দেখা যায় তাঁদের। এরপরই ঘটনার তদন্তে নামে দিল্লি পুলিশ। জানা গেছে, এ ব্যাপারে মুখ চিহ্নিতকরণ প্রযুক্তির (facial recognition technology) ব্যবহার করা হচ্ছে। আর তার মাধ্যমেই দিল্লি পুলিশ চিনে নিতে চাইছে সেদিনের সেই বিশাল জনসমাগমের মূল দোষীদের। মূলত ঘটনার ভিডিও ফুটেজ স্ক্যান করে অভিযুক্তদের চিহ্নিত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে দিল্লি পুলিশ।
শনিবার ২০ জন অভিযুক্তের ছবি প্রকাশের পর দিল্লি পুলিশের একজন সিনিয়র আধিকারিক বলেন, “আমরা ছবিগুলো বের করেছি এবং সনাক্তকরণের প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে।” উল্লেখ্য, এর আগে শুক্রবারেই প্রজাতন্ত্র দিবসের অশান্তির সঙ্গে যুক্ত ২০০ জনের ছবি প্রকাশ্যে এনেছিল দিল্লি পুলিশ। তার পরের দিনই প্রকাশিত হল আরো ২০ জনের ছবি।
প্রসঙ্গত, প্রজাতন্ত্র দিবসের সকাল থেকেই আন্দোলনকারী কৃষকদের সঙ্গে দিল্লি পুলিশের মুহুর্মুহু সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয় রাজধানী। নির্ধারিত সময়ের আগেই একের পর এক ব্যারিকেড ভেঙে ট্র্যাক্টর নিয়ে রাজপথে ঢোকেন কৃষকরা। তাঁদের গন্তব্য ছিল লালকেল্লা। যেখানে প্রতিবছর স্বাধীনতা দিবসের দিন তেরঙা পতাকা উত্তোলন করেন প্রধানমন্ত্রী, সেখানেই এদিন কৃষকরা ওড়ান তাঁদের পতাকা। কৃষকদের মিছিল দমনে পুলিশের তরফ থেকেও নেওয়া হয় কড়া পদক্ষেপ। লাঠিচার্জ থেকে শুরু করে টিয়ার গ্যাস, বাদ যায় না কিছুই। এরপর অভিযুক্তদের চিহ্নিত করার জন্য শুরু হয় তদন্ত।