নয়াদিল্লি: দিল্লির প্রশাসনিক ক্ষমতা নির্বাচিত সরকারের হাতে থাকবে, নাকি উপরাজ্যপাল তথা লেফটেন্যান্ট গভর্নরের হাতে যাবে তা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই চলছে বিস্তর টানাপোড়েন। এই সংক্রান্ত জিএনসিটিডি বিল শত বিরোধিতা সত্ত্বেও পাশ হয়েছিল লোকসভায়। এরপর বিরোধী দলগুলির প্রতিবাদে তা সংসদের উচ্চকক্ষে পেশ করা হয়। কিন্তু তাতে লাভ হল না।
বৃহস্পতিবার গভীর রাতে তুমুল হট্টগোলের মধ্যেই রাজ্যসভাতেও পাশ হয়ে গেল বহু চর্চিত বহু বিতর্কিত জিএনসিটিডি বিল, এমনটাই জানা গেছে সূত্রের খবরে। এ ব্যাপারে প্রাথমিক ভাবে সোশ্যাল মিডিয়ায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। রাতে নিজের ট্যুইটার হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “গণতন্ত্রের কালো দিন শুরু হয়ে গেছে।”
দিল্লির এই বিতর্কিত জিএনসিটিডি বিল রাজ্যসভাতেও পাশ হয়ে যাওয়ার অর্থ, এবার থেকে রাজধানীর সমস্ত প্রশাসনিক ক্ষমতা থাকবে অরবিন্দ কেজরিওয়াল বা তাঁর পরিচালিত সরকারের হাতে নয়, দিল্লির উপরাজ্যপাল তথা লেফটেন্যান্ট গভর্নরের হাতে। এ ব্যাপারে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের অভিযোগের তীর রয়েছে বিজেপির দিকে। তাঁর কথায়, দিল্লিতে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে জিততে পারেনি ভারতীয় জনতা পার্টি। আর তাই ক্ষমতা নিজেদের হাতে রাখার জন্য এই বিল পাশ করেছে তারা। উপরাজ্যপালের হাতে ক্ষমতা যাওয়ার অর্থ যে আদতে বিজেপি সরকারের হাতেই ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত হওয়া সে কথাই বোঝাতে চেয়েছেন তিনি।
এদিন ট্যুইটারে কেজরিওয়াল লিখেছেন, “যাই বাঁধা আসুক না কেন, আমরা সংগ্রাম করে যাওয়া থামাবো না। লড়াই করে, ভালো কাজ করে আমরা দিল্লির ক্ষমতা আবার নিয়ে আসবো মানুষের হাতে। কাজ থামবে না, বা তার গতি কমবে না।” উল্লেখ্য, জিএনসিটিডি বিলে বলা হয়, এবার থেকে উপরাজ্যপালের সিদ্ধান্তকেই সরকারি সিদ্ধান্ত হিসেবে মেনে নেওয়া হবে।