দিল্লি কংগ্রেসে ডামাডোল, প্রদেশ সভাপতি পদত্যাগ করতেই কানহাইয়ার বিরুদ্ধে কর্মীরা, ম্যাচ কঠিন হয়ে গেল?

দিল্লি কংগ্রেসে ডামাডোল, প্রদেশ সভাপতি পদত্যাগ করতেই কানহাইয়ার বিরুদ্ধে কর্মীরা, ম্যাচ কঠিন হয়ে গেল?

0176ef92413f9733a57e1ce2ec672c9c

নিজস্ব প্রতিনিধি: আম আদমি পার্টির সঙ্গে জোট করে দিল্লিতে যখন আসন জয়ের স্বপ্ন দেখছিল কংগ্রেস, ঠিক তখনই অস্থিরতা দেখা গেল সেখানে। রবিবার দিল্লি কংগ্রেসের সভাপতি অরবিন্দর সিং লাভলি পদ থেকে ইস্তফা দিলেন।  স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় রাজধানীতে জোর ধাক্কা খেল কংগ্রেস। দিল্লিতে আম আদমি পার্টির সঙ্গে কংগ্রেস জোট করেছে বলেই তিনি দিল্লি কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন বলে রবিবার স্পষ্ট জানিয়েছেন অরবিন্দর। তিনি বলেন,”দিল্লির কংগ্রেস কর্মীদের স্বার্থ রক্ষা করতে পারিনি। তাই দলের সভাপতি পদে থাকার প্রয়োজনীতা অনুভব করিনি।”

এদিন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গেকে চিঠি দিয়ে ইস্তফার কথা জানিয়েছেন তিনি। চিঠিতে তিনি লিখেছেন,”যে দল (আপ) কংগ্রেসের বিরুদ্ধে মিথ্যে দুর্নীতির অভিযোগ এনে তৈরি হয়েছে, তাদের সঙ্গে জোট করতে চায় না দিল্লির কংগ্রেস ইউনিট। এরপরেও কংগ্রেস দিল্লিতে আম আদমি পার্টির সঙ্গে জোট বাধার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাই পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিলাম।” যদিও তিনি কংগ্রেস ছাড়ছেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন অরবিন্দর। দিল্লিতে সাতটি লোকসভা কেন্দ্র রয়েছে। সেখানে আসন সমঝোতা করে কংগ্রেস তিন এবং আম আদমি পার্টি চারটি আসনে লড়ছে। কংগ্রেসের উল্লেখযোগ্য প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন জেএনইউ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রনেতা কানহাইয়া কুমার। যদিও অরবিন্দরের অভিযোগ কানহাইয়া কুমার ও দলের অপর এক প্রার্থী উদিত রাজ দিল্লি কংগ্রেস ইউনিটের কাছে একেবারেই অপরিচিত। সব মিলিয়ে কংগ্রেসের এমন সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে এদিন নিজের পদ থেকেই ইস্তফা দিয়েছেন তিনি।

আর তাৎপর্যপূর্ণভাবে অরবিন্দর পদত্যাগ করতেই দিল্লি কংগ্রেসের বহু কর্মী কানহাইয়া কুমারের বিরোধিতা করে পথে নেমেছেন। তাঁদের প্রশ্ন বহিরাগত কানহাইয়া কুমারকে লোকসভায় টিকিট দেওয়া হয়েছে কেন? স্থানীয় কংগ্রেসের কোনও নেতাকে যাতে প্রার্থী করা হয় সেই দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন তাঁরা। এমনকী দিল্লিতে প্রার্থী হয়ে সেখানে যে নতুন কার্যালয় খুলেছেন কানহাইয়া, তার সামনেও এদিন বিক্ষোভ পর্যন্ত দেখিয়েছেন কংগ্রেস কর্মীরা। কেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের প্রশংসা করেছেন কানহাইয়া কুমার, সেই প্রসঙ্গ তুলে সোচ্চার হয়েছেন অরবিন্দরের পাশাপাশি কংগ্রেসের কর্মীরা। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, দিল্লিতে কী আদৌ মসৃণ জোট হয়েছে কংগ্রেস ও আম আদমি পার্টির মধ্যে? এভাবে চললে কী বিজেপির বিরুদ্ধে আদৌ লড়াই দেওয়া সম্ভব হবে এই দুটি দলের? কংগ্রেস নিজেই কী ম্যাচটাকে কঠিন করে ফেলল? এর উত্তর মিলবে ৪ জুন ভোটের ফল প্রকাশের দিনেই।

ad 728x90 1

ad 728x90 1

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *