প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের রিপোর্ট বলছে ‘অনুপ্রবেশ’! মোদী কি মিথ্যে বলেছেন, প্রশ্ন রাহুলের

তাৎপর্যপূর্ণ ব্যাপার এই যে, গোটা রিপোর্টে ‘অনুপ্রবেশ’ শব্দটির ব্যবহার করা হয়নি কোথাও। বরং লেখা হয়েছে ‘সীমালঙ্ঘন’ শব্দটি। এখন, সীমা লঙ্ঘন করে চিনের সৈন্যরা ভারতে অনুপ্রবেশ করেছে কি করেনি তা বলা হয়নি কোথাও। তবে রাহুল গান্ধী শব্দের কাছে জব্দ হওয়ার বান্দাই নন।

নয়া দিল্লি: লাদাখে প্রকৃত সীমান্তরেখায় চিনা সেনাদের সঙ্গে সংঘর্ষে শহিদ হয়েছেন ২০ জন ভারতীয় জওয়ান। সেই থেকে ওই ভারত-চিন সীমান্তে প্রবল উত্তেজনার পরিস্থিতি কায়েম রয়েছে। দিন কয়েক আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দাবি করেছিলেন, ভারতে কোনও চিনা অনুপ্রবেশ ঘটেনি। সেই বক্তব্যের পরে বয়ে গিয়েছিল সমালোচনার ঝড়। অনুপ্রবেশই যদি না ঘটে থাকে তাহলে এত জওয়ানের মৃত্যু কীভাবে হলে, এই প্রশ্ন তুলেছিল বিরোধীরা। সেই বিতর্ক ধামাচাপা পড়ে গেছিল ইতিমধ্যেই। দেশের নতুন ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে রাম-মন্দির। কিন্তু কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী ফের চিনা অনুপ্রবেশের প্রসঙ্গ খুঁচিয়ে তুললেন। 

 

এদিন টুইটারে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের একটি রিপোর্ট পোস্ট করেছেন তিনি। তাতে বলা আছে, মে মাসে ভারতে চিনা অনুপ্রবেশ ঘটেছিল। রাহুলের প্রশ্ন, তাহলে কেন প্রধানমন্ত্রী মিথ্যে কথা বললেন। সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থা টাইম্স অব ইন্ডিয়ার প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে সরকারি ভাবে মে মাসে লাদাখে চিন সেনাদের অনুপ্রবেশের খবর স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে। এই সংবাদকেই হাতিয়ার করে মোদীকে একহাত নিলেন রাহুল।

আরও পড়ুন: কোভিড হাসপাতালে ভয়াবহ আগুন, ICU বেডে শুয়ে জীবন্ত পুড়ল ৮ রোগী

 
১৫ জুন গালওয়ান উপত্যকায় তীব্র সংঘর্ষে ২০ জন ভারতীয় সেনা প্রাণ হারান। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের রিপোর্টে সাফ জানানো হয়েছে, জুন মাসের ওই সংঘর্ষের অনেক আগেই অনুপ্রবেশ করেছিল চিন। প্যাট্রলিং পয়েন্ট-১৫র কাছে কুগ্রাং নালা, গোগরা এবং প্যাঙ্গং এলাকায় মে মাসের ১৭-১৮ তারিখ নাগাদ অনুপ্রবেশ ঘটে গেছিল বলে উদ্ধৃত করা হয়েছে রিপোর্টে। 

 

তাৎপর্যপূর্ণ ব্যাপার এই যে, গোটা রিপোর্টে ‘অনুপ্রবেশ’ শব্দটির ব্যবহার করা হয়নি কোথাও। বরং লেখা হয়েছে ‘সীমালঙ্ঘন’ শব্দটি। এখন, সীমা লঙ্ঘন করে চিনের সৈন্যরা ভারতে অনুপ্রবেশ করেছে কি করেনি তা বলা হয়নি কোথাও। তবে রাহুল গান্ধী শব্দের কাছে জব্দ হওয়ার বান্দাই নন। তিনি বৃহস্পতিবার প্রশ্ন করে বসলেন, নরেন্দ্র মোদী কি তাহলে মিথ্যে কথা বলছেন। কে মিথ্যে বলছে আর কে সত্য গোপন করছে তা আদৌ জনগণের সামনে আসবে কি না সেটাই সন্দেহ।           
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

three × one =