deep depression
কলকাতা: ফুসছে সাগর৷ ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘মিগজাউম’। মৌসম ভবনের সর্বশেষ বুলেটিন অনুযায়ী, এই মুহূর্তে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং তৎপার্শ্ববর্তী আন্দামান সাগরের উপর অবস্থান করছে সুস্পষ্ট একটি নিম্নচাপ৷ এই নিম্নচাপটি ক্রমেই উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে এগিয়ে যাবে। তবে এটি এখন আর শুধু নিম্নচাপ নেই৷ গত ২৪ ঘণ্টায় শক্তি বাড়িয়ে সেটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে৷ আগামী এক-দুদিনের মধ্যেই তা ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হবে বলেই জানাচ্ছে আবহাওয়া দফতর৷ তখন এর নাম হবে ‘মিগজাউম’।
মৌসম ভবনের আপডেট অনুযায়ী, গভীর নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার পর এই সিস্টেমটি উত্তর-পশ্চিম ও পশ্চিম বঙ্গোপসাগরের উপরে অবস্থান করবে। আগামী রবিবার, অর্থাৎ ৩ ডিসেম্বর গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। সোমবার, ৪ ডিসেম্বর সকালে মিগজাউম পৌঁছে যাবে উত্তর তামিলনাড়ু এবং অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলের কাছাকাছি৷ তবে এই ঘূর্ণিঝড়ের ল্যান্ডফল কোথায় হবে, তা এখনও নিশ্চিত ভাবে জানাতে পারেনি হাওয়া অফিস৷ তবে আবহবিদদের অনুমান ৪ ডিসেম্বর অন্ধ্র উপকূলেই আঘাত হানতে চলেছে ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম।
এই ঝড়ের কতটা প্রভাব পড়বে পশ্চিমবঙ্গের উপরে? হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে ঝূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে৷ কিন্তু এর প্রভাব বাংলার আবহাওয়ার উপর পড়বে বলেই জানিয়েছে দিল্লির মৌসম ভবন।
‘মিগজাউম’-এর অভিমুখ অন্ধ্রপ্রদেশে উপকূলের দিকে হলেও, ঠিক কোন অংশে এই ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়বে সে বিষয়ে এখনও নিশ্চিত নয় হাওয়া অফিস৷ মনে করা হচ্ছে, ল্যান্ডফলের পর উত্তর এবং উত্তর-পূর্বে বাঁক নিতে পারে মিগজাউম। তেমনটা হলে এ রাজ্যে দেখা দেবে দুর্যোগের ঘটঘটা। তৈরি হতে পারে বৃষ্টির সম্ভাবনা। এর ফলে কৃষিকাজের উপর বিরূপ প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা থেকেই যাচ্ছে। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে এখনও ধান কাটার কাজ চলছে। বৃষ্টি নামলে সেই কাজ অনেকটাই পন্ড হবে। এদিকে, ধান উঠলেই শুরু হয় যায় আলুচাষ। আলুর বীজতলার জন্য প্রয়োজন হয় শুকনো মাটি৷ কিন্তু বৃষ্টি হলে মাটি যাবে থাকবে। পিছিয়ে যাবে আলুর বীজ বপনের কাজও৷
যদিও ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে এ রাজ্যে কতটা বৃষ্টি হবে, সে বিষয়ে নিশ্চিত ভাবে কিছু জানায়নি হাওয়া অফিস৷ এর প্রভাবে পশ্চিমবঙ্গের বাতাসে ঢুকে পড়বে প্রচুর পরিমাণে জলীয় বাস্প৷ ব্যাপক ভাবে বাধা পাবে উত্তুরে হাওয়া৷ ফলে আগামী কয়েক দিন ঠান্ডা বাড়ার সম্ভাবনা নেই বলেই নিশ্চিত করেছে হাওয়া অফিস৷